পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
হারামণি

হাঁটুজলে নামিয়া রে ও মোর নীলা হাঁটু মাঞ্জন করে রে
আমার নীলাব পরাণ না নেয় ঘর-বাড়ী রে
বুকজলে নামিয়া রে ও মোর নীলা হাঁটু মাঞ্জন করে রে
আমার নীলার পরাণ না নেয় ঘর-বাড়ী রে।
থুথুজলে নামিয়া রে আমার নীলা থুথু মাঞ্জন করে রে
আমার নীলার পরাণ না নেয় ঘর-বাড়ী রে।
ও সাধু বলে রে একেতে আশ্বিন মাসে নিশি ভাগ রাতে
নিশির শয়নে দেখি নীলা তুই বড় যুবতী রে।
ও সাধু বলে রে একেতে আঘ্রানমাসে মদনেরই বাড়ি
তোমার সর্ব্বাঙ্গে তুল্যা দেবো অষ্টালঙ্কার।
সাধু বলে রে একেতে পৌষ মাসে রে দু-গুণ পডে জার
একেলা ঘুমা ও নারী জোড়-মন্দিরার ঘর।
ও নীলা বলে রে এমন নারী নহে আমরা ঘুমাইয়া ভুলি
পর রে পুরুষ নিয়া খেলা নাহি করি।
ও সাধু বলে রে খিল খাড়্যা বকমল দেবো পায়েতে বাসলী
মাঞ্জাতে জিঞ্জিরা দেবো গলতে হাঁসলী।
পরিধান বসন দেবো কামরাঙ্গা সাড়ী
দুইকানে স্কুল-বিস্তার দেবো সোনার মদনকড়ি।
ও নীলা বলে রে শাশুড়ীর দুর্ল্লভ আমার সোয়ামীর পরাণ
পর রে পুরুষ দেখি আমরা বাপ ভাই-এর সমান।
ও নীলা বলে রে একেতে মাঘমাসে গাছে গুয়া পাকা
মোর সাধু আস্‌বে দ্যাশে করবো আমি খেলা।