পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হারামণি
১২১

৯০

চিলার বারোমাসী

কাঁদে চিলা পদ্মরমণী লয়ে সখিগণ
বেলন কাষ্ঠের থাম্বা ধরিয়া রোদন।
আহারে বৈদেশী সাধু তুই বড় নিষ্ঠুর,
বঞ্চিত করলি মুখের অল্প সিঁথ্যার সিন্দুর।
অঘ্রাণ মাসেতে চিলালো নারী খ্যাতে পাকা ধান,
খাও আর বিলাও লো চিলা ভাত আর পান।
খাও আর বিলাও লো বর্ষকালের ধন,
শেষ কালের জন্য রাখিও সম্বল।
এও মাস গেল চিলার না পুরিল আশ,
নবরঙ্গ নউলী যৌবন সামনে পৌষ মাস।
পৌষ না মাসেতে চিলালো নারী হামেলা,
চিলা নারীর যৈবন দেখ্যা গুঞ্জরে ভ্রমরা।
গুঞ্জরে গুঞ্জরে ভ্রমরা ফলের মধু খায়,
ফুলের মধু ফুলে র’ল ভ্রমর উড়ে যায়।
এও মাস গেল চিলা নারীর না পুরিল আশ,
নবরঙ্গ নউলী যৈবন সামনে মাঘ মাস।
মাঘ মাসেতে ওগো চিলালো নারী দুগুণ পরে জার,
চিলা নারী বিছানা পাতে শয়ন মন্দির ঘর।
অবলা তুলার বালিশ কথা নাহি কয়,
আহারে বৈদেশী সাধু তোরে লাগল পাই।
অঞ্চলে বিছায়ে আমি রজনী পোহাই।