পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পল্লীগানে বাঙ্গালী সভ্যতার ছাপ
২১

তবু তার পাড়ি নাহি জমে যে দিন ‘বান’ চুয়ায়ে
উঠবে পানি।
যে দিন তরী মন রসনা নৌকা ছেড়ে পালায়ে যাবে
মাল্লা ছয় জনাই॥

(ঘ)

“কোন কারিকর গড়েছে তরী।
ও তার গুণের (মন রে)
ও তার গুণের যাই বলিহারি॥
তরী দমের গুণে, ভোলা মন
তরী দমের গুণে, জলে আগুনে
চলতেছে অনিবারে।
সদাই দুইটি চাকা দুইদিকে ঘোরে॥
আবার, মাঝ খানে তার নড়ছে তার
দেখ সে কল ঘুরে॥
কিবা হাল ধরেছে (ভোলা মন) দিবারেতে
বসে আছেন কাণ্ডারী॥
বসে এক খালাসী মাপ‍্ছে নদীর জল।
দু’জন তার দুধারে দূরবীণ ধরে
হায় কি মজার কল॥


     নৌকার তক্তার অল্প পরিমাণ স্থান নষ্ট হইয়া গেলে, তাহার মধ্য দিয়া জল উঠে। এই অবস্থার নাম “খোঁচ”।
     এই দুই ছয়ে নৌকার জীর্ণতা ও ধ্বংসমুখতা—ইহাই প্রমাণ করিতেছে।