পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
হারামণি

দেখ তোর মন বাগাতে ফুল ফুটিল
গুরু পদ ঠিক রাখনা॥”

 বাঙ্গালীর স্নানের ঘাট সম্বন্ধেও কবির মনভোলান গান শোনা যাউক। সাধক বলিতেছেন

“সাম‍্লে ঘাটে নামিস্ আমার মন।
ঘাটেতে কাঁটা গোজা কত আছে,
হোস‍্নারে তাতে পতন॥
ঘাটেতে শেওলা ভারী পা টিপে চল‍্তে নারি,
কেমন করে নামবি তাতে তার উপায় করনা॥”

 ঘাটের কথা ত শুনিলেন এখন “আঘাটা”র সম্বন্ধে শুনুন, ঘাট এবং আঘাটের তুলনায় পরস্পরের ছবি পরিস্ফুট হইবে।

“স্নান ক’রোনা আঘাটায়।
আরে পা পিছলে গেলে উঠা দায়॥
মরবি খেয়ে হাবুডুবু তখন করবি কি উপায়,
যদি নেয়ে উঠিস্ বেঁচে পড়বি কেঁচে পুনরায়॥
ভব নদীর কোথায় কেমন সহজে কি জানা যায়।
কোথাও গড়ে হাঁটু পানি কোথাও হাতী তলিয়ে যায়॥
নাব‍্লে পরে বাঁধা ঘাটে, আছে কত মজা তায়,
কত সাধু শান্ত হয়ে ভ্রান্ত, “বেটক্কোরে” মারা যায়॥
সে জানা বলে ঘোলা জলে, ঘাট কি অঘাট চেনা যায়?
জেনে শুনে নাব‍্লে পরে নাইক ক্ষতি তায়॥”