পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারামণির অন্বেষণ । و ۹

                • ఇw=్క=wూv سياسي

একজন বেয়ান পথিক ? তাহা হইতেই পারে না। ঠিক্‌ তাহার বিপরীত। পরম্পরের পছন্দসই সুবিবাহিত বরকস্তার শুভদৃষ্টির বিনিময়কালে উভয়ের চক্ষের চাওয়া’র মধ্য দিয়া কেমন অকৃত্রিম প্রাণের চাওয়া বাহির হইয়া পড়িতে থাকে—তাহা তো তোমার দেখিতে বাকি নাই ! সেইভাবের প্রাণের চাওয়ার সঙ্গে আপনাকে আপনি চাওয়া’র সোসাদৃশু থাকিবারই কথা, কেন না, সুবিবাহিত বরকন্যা দোহে দোহার দ্বিতীয় আপ্লি। এটাও কিন্তু দেখা উচিত যে, দুয়ের মধ্যে সোসাদৃশু যতই থাকুক্‌ না কেন, তাহা সোসাদৃগু বই আর কিছুই নহে; সে সোসাদৃত একপ্রকার অপ্রতিমের প্রতিমা বা জোতির্মগুলের গাত্ৰচ্ছায়। প্রকৃত কথা এই যে, সত্য যে কিরূপ শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত-পবিত্ৰ-মধুময় ভাবে আপনার প্রতি আপনি চান আর, সেই অনিরুদ্ধ জ্ঞানের চাওয়ার মধ্য দিয়া অতলম্পর্শ গভীর প্রাণের চাওয়া যে কিরূপ অপরিসীম ধীরগম্ভীর এবং অটল শক্তিপ্রভাবে—মহাসংযম এবং মহা-উদ্যম দুয়ের অনিৰ্ব্বচনীয় যোগ প্রভাবে উদ্বেল হইয়া, জ্যোতিৰ্ম্ময় আশীৰ্ব্বাদে নিখিল ব্যোম উদ্দীপিত করিয়া, ভূভু বস্বঃ হইয়া, দশদিকে ফাটিয়া পড়িতেছে, তাহা (আমরা তো কীটাণুকীট) মহোচ্চ দিব্যধামবাসী মুনিঋষি এবং দেবতাদিগের ও ধ্যানের অতীত । প্রশ্ন। তা তো বুঝিলাম। কিন্তু তাহাতে আমার জিজ্ঞাসা থামিতেছে কই ?—বরং বৃদ্ধিই পাইতেছে । আমি চাই জানিতে চা ওয়া এবং পাওয়| একত্র বাস করিবে কেমন করিয়া ? বাঘেগোরুতে একঘাটে জল পি'বে কেমন করিয়া ? আমি তো এইরূপ বুঝি যে, যতক্ষণ পাওয়া না হয়, ততক্ষণই প্রাণের ভিতর হইতে চাওয়া বাহির হইতে থাকে ; পাওয়া হইলেই চাওয়া ঘুচিয়া যায়। তবে যদি বলে যে, সত্য কোনো-সময়ে বা আপনাকে