পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তর । જે

  • -১৭:১৯, ৩ মে ২০১৬ (ইউটিসি) ~**ూ- కాస్కాళ్న

হইয়া বাচিয়া থাকুক্‌ ; একই অভিন্ন সময়ে, তোমার জ্ঞানের পাওয়া এবং প্রাণের চাওয়া পরস্পরের কণ্ঠ আলিঙ্গন করিয়া হরিহরাত্মা হইয়া গিয়াছিল ;–তবে আর কেমন করিয়া বলিব যে, চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে ব্যাঘ্ৰমৃগের সম্বন্ধ। তোমার দৃষ্টিতে তুমি যেখানে দেখিতেছ ব্যাঘ্ৰমৃগের সম্বন্ধ, আমার দৃষ্টিতে আমি সেখানে দেখিতেছি পুরুষপ্রকৃতির সম্বন্ধ বা জ্ঞানপ্রাণের সম্বন্ধ। তোমাকে জিজ্ঞাসা করি-জ-জ্ঞান সব-চেয়ে ভালবাসে কাহাকে ? জ্ঞানকে জিজ্ঞাসা করিলে জ্ঞান কি বলে ? জান বলে—প্রাণতুল্য ভালবাসাই ভালবাসার সৰ্ব্বোচ্চ আদর্শ। তাহ যখন সে বলে, তখন তাহাতেই বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, জ্ঞান প্রাণকে যেমন ভালবাসে, এমন আর কাহাকেও নহে। প্রাণ আবার তেমিভালবাসে জ্ঞানকে। জ্ঞান একমুহূৰ্ত্ত চক্ষের আড়াল হইলে প্রাণ দশদিক্‌ অন্ধকার দেখে। জ্ঞান ছাড়িয়া পলাইলে প্রাণের নাড়ি ছাড়িয়া যায়। ভালবাসা যদি-চ বস্তু একই, তথাপি জ্ঞানের ভালবাসা এবং প্রাণের ভালবাসার মধ্যে একপ্রকার অভেদ-ঘ্যাস। প্রভেদ আছে, আর, সে যে প্রভেদ, তাহার গোড়া’র কথা হ’চ্চে প্রতিযোগিতা অর্থাৎ পাশ্চাত্যবিজ্ঞানশাস্ত্রে যাহাকে বলে Polarity কিনা মিথুনীভাব। পুরুষ যেভাবে স্ত্রীকে ভালবাসে, জ্ঞান সেইভাবে প্রাণকে ভালবাসে, আবার, স্ত্রী যেভাবে পুরুষকে ভালবাসে, প্রাণ সেইভাবে জ্ঞানকে ভালবাসে। রূপকচ্ছলে বলা যাইতে পারে যে, নবোদিত স্বৰ্য্য যেভাবে পদ্মিনীর প্রতি চক্ষু উন্মীলন করে, নবোদিত জ্ঞান সেইভাবে প্রাণের প্রতি চক্ষু উন্মীলন করে ; তার সাক্ষী—মানুষ্যাবতারের আদিমবয়সে পৃথিবীতে জ্ঞানের যখন সবে মাত্র অরুণোদয় দেখা দিয়াছিল, তখন জ্ঞানের কার্য্যই ছিল—প্রাণ কিসে ভাল থাকে—অহোরাত্র কেবল তাহারই পন্থায়