পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তর । Y > প্রধান ভালবাসা, তাহ প্রাণঘ্যাসা-মনের ভালবাসা—সংক্ষেপে প্রাণের ভালবাসা ; আর, স্ত্রীর প্রতি পুরুষের যেরূপ পাওয়া.প্রধান ভালবাসা তাহা জ্ঞানঘ্যাসা-মনের ভালবাস—সংক্ষেপে জ্ঞানের ভালবাসা। স্ত্রীর প্রাণের ভালবাসা এক-প্রকার জ্ঞানশূন্ত অহেতুক ভালবাসা ; রাধাকে তাই কবিরা বলেন “উন্মাদিনী রাধা”। পক্ষান্তরে, পুরুষের জ্ঞানের ভালবাসা একপ্রকার রত্নচেনা চোকোলো ভালবাসা ; • কৃষ্ণকে তাই কবিরা বলেন “চতুরচুজুপি"। এখন জিজ্ঞান্ত এই যে, "কৃষ্ণকে ভালবাসি জানি না সই আমি কিজষ্ঠ" এইরূপ জ্ঞানপৃষ্ঠ অহেতুক ভালবাসা বড়, না “রাধা মূৰ্ত্তিমতী প্রেমমাধুরী, তাই আমি রাধর চরণ-কিঙ্কর” এইরূপ চোকো'লো-ধাচার সহেতুক ভালবাসা বড় ? ইহার উত্তর এই যে রাধার অহেতুক ভালবাসা প্রাণাংশে বড়, কৃষ্ণের সহেতুক ভালবাসা জ্ঞানাংশে বড় । হারজিতের কথা যদি জিজ্ঞাসা কর, তবে তাহার উত্তরে আমি বলি .এই যে, ভিন্ন জাতির ভিন্ন রীত । আপন মুলুকে সবারই জিত । ফলকথা এই যে, কৃষ্ণরাধিকার যুগবাধা প্রেম এ বলে আমায় দ্যাথ, ও বলে আমায় স্বাখ দুয়েরই মর্যাদা নিক্তির ওজনে সমান ; যেহেতু জ্ঞানের পাওয়া এবং প্রাণের চাওয়া চখাচর্থীর স্তায় সখাসর্থী। ভিতরের কথাটি তবে তোমাকে ভাঙিয়া বলি— প্রাণ হইতে জ্ঞানে পৌছিবার মাঝপথে একটি ঘাটি-স্থান আছে, সেইটিই ভালবাসা'র জন্মস্থান। সে স্থানটি হ’চ্চে মন। এখন জিজ্ঞাস্ত্য এই যে, মন পদার্থ টা কি ? গঙ্গাজলই যেমন গঙ্গার সারুসৰ্ব্বস্ব, তেমি, মানস বলিয়া যে-একটি মনোবৃত্তি আছে, তাহাই মনের সারসৰ্ব্বস্ব। মানস, সঙ্কল্প, ইচ্ছা, মন একই। তার সাক্ষী