পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે ર হারামণির অন্বেষণ । —“মন নাই” বলিলে বুঝায় ইচ্ছা নাই, “মনে ধরে না ? বলিলে বুঝায় ইচ্ছার সঙ্গে মেলে না, "মন যায় না” বলিলে বুঝায় ইচ্ছা হয় না। পৃথিবীর ভূগোল তোমার নখগ্রে, তাহা আমি জানি ; তোমার জানিতে কেবল বাকি মনের ভূগোল ; জানা কিন্তু উচিত—বিশেষত তোমার মতো পণ্ডিতলোকের। অতএব প্রণিধান কর— । মন হ’চ্চে মানস-সরোবর বা ইচ্ছ। সরোবর, আর, তা’র দুই কুল হচ্চে জ্ঞান এবং প্রাণ। মনের যে জায়গাটি জ্ঞানের কুল ঘেঁসিয়া তরঙ্গিত হয়, মানস-সরোবরের সেই জ্ঞানঘ্যাসা কিনারাটি প্রভাবাত্মক বা প্রভুত্বপ্রধান বা পাওয়া-প্রধান ইচ্ছা, সংক্ষেপে ঈশনা ; আর, মনের ষে-জায়গাটি প্রাণের কুল ঘেষিয়া তরঙ্গিত হয়, মানস-সরোবরের সেই প্রাণঘ্যাস। কিনারাটি অভাবাত্মক বা অধীনতাপ্রধান বা চাওয়া-প্রধান ইচ্ছ, সংক্ষেপে বাসনা। মুখে সব কথা খোলোসা করিয়া বলিতে গেলে বডড বেশী বকিতে হয়, অথচ, বক্তা’র কেবল বকুনিই সার হয়—শুনিবেন যাহারা, তাহারা ঘড়ি-ঘড়ি স্ব স্ব গৃহের দিকে মুখ ফিরাইতে থাকেন। তাহাতে কাজ নাই। মানস-সরোবরের একখানি ক্ষুদ্র মানচিত্রের ( একপ্রকার চুম্বক চিটের) জোগাড় করিয়াছি, তাহ দেখিলেই সরোবরটির কুলকিনারা’র ঠাহর পাইতে তোমার একমুহূৰ্ত্তেও বিলম্ব হইবে না ; অতএব দেখ—