পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারামণির অন্বেষণ । ט\כ কুলে পৌছিবার ক্রমপদ্ধতির সন্ধান। আর তিনটি বিষয়ের সন্ধান পাইতে এখনো বাকি ; সে তিনটি বিষয় হ’চ্চে—(১) ব্যক্তাব্যক্তরহস্ত, (২) ত্রিগুণ-রহস্ত, এবং (৩) দ্বন্দ্ব-রহস্ত বা চাওয়া-পাওয়া’র বিচ্ছেদমিলনের ব্যাপার। ব্যক্তাব্যক্তরহস্য । যাত্রাকালে পথযাত্রীর পক্ষে দুইটি কার্য্যের তত্ত্বাবধারণ সমান আবশ্যক। প্রথমে দেখা চাই—কাজের সামগ্রীগুলি সমস্তই মোট বাধিয়া সঙ্গে লওয়া হইয়াছে কি না ; তাহার পরে দেখা চাই—যে-সময়ের জন্য যাহা প্রয়োজন, সেই সময়ে তাহা ঝটপট খুজিয়া পাইতে পারিবার মতো সুন্দর প্রণালীতে সমস্ত ব্যবহার্য্য-দ্রব্য গুছাইয়া রাখা হইয়াছে কি না। প্রথম কার্যাটি (অর্থাৎ মোটবাধা-কাৰ্য্যট) একপ্রকার হইয়া চুকিল মন্দ না—প্রাণ, মন, জ্ঞান, এই তিন বৃহং প্যাটরা’র মধ্যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পুরিয়া ফ্যালা হইল। এখন, দ্বিতীয় কাৰ্য্যটি (দ্রব্যাদি ভাগ-ভাগ করিয়। সুপ্রণালীতে গুছাইয়া রাখা কাৰ্য্যটি ) হইয়া-চুকিলেই নিঝঞ্জাট হওয়া যায়। তাহাতেই প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে। বিশাল অরণ্যে যে অগ্নি কোথায় লুকাইয়া থাকে, তাহ জানিতে পারা ভার, দাবানলের আরম্ভকালে সেই অগ্নিই ( অরণ্যদারুর অন্তনিগুঢ় অদৃশু অগ্নিই ) শাখাগুলার ঝুটােপুটি'র উপদ্রবে উত্তাক্ত হইয়া হেথা-হোথা-সেথা ছিন্নছিন্নভাবে ফুটিয়া বাহির হয় ; ক্ষণপরে আবার সেই অগ্নিই প্রচণ্ডবেগে সমস্ত অরণ্যের আপাদমস্তক অধিকার করিয়া আকাশে জয়পতাকা উড্ডীয়মান করে ।