পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিগুণরহস্ত । २* SAM AAAA S AAAAA AAAAMSMMAMSASA AMASAMAMAAASAAAA প্রশ্ন। সত্ত্বগুণের সত্ব-শব্দটা গুণের কোটায় উড়িয়া-আসিয়া: জুড়িয়া বসিয়াছে, তাহা তো দেখিতেছি ; কিন্তু কোথা হইতে যে তাহা আসিল, তাহার বাষ্পও আমি বুদ্ধিতে হাংড়াইয়া পাইতেছি না। •উত্তর। সত্ত্ব-শব্দ কোপা হইতে আসিয়াছে, তাহা চক্ষু মেলিয়া দেখিলেই তো পারে ; তবে কেন চক্ষু বুজিয়া এদিক-ওদিক হাৎড়াইয়া বেড়াও ? সত্ত্বশব্দ কোথা হইতে আসিয়াছে, তাহাই যেন তুমি জানো না ; কিন্তু মনুষ্যত্ব কোথা হইতে আসিয়াছে— তুহ,তো আর তোমার অবিদিত নাই। মানুষের যেমন ময়ূন্যত্ব, সতের তেমনি সত্ত্ব। এমন যদি কোনে গুণ থাকে, যাহার বিস্তমানতার বলেই মনুষ্য মনুষ্ক, আর যাহার অবিদ্যমানে মনুষ্য মনুষ্য হইয়াও মনুষ্য নহে, তবে তাহারই নাম যে মনুষ্যত্ব—এটা অবশু তুমি জানো ; এটাও তেমি তোমার জানা উচিত যে, এমন যদি কোনো গুণ থাকে, যাহার বিদ্যমানতা’র বলেই সৎ সং, এবং যাহার অবিদ্যমানে সৎ সৎ হইয়াও সৎ নহে, তবে তাহারই নাম সত্ত্বগুণ। সং যদি মূলেই প্রকাশ না পান ; না তাহার আপনার নিকটে, না অন্যের নিকটে, কাহারে নিকটে, কস্মিনকালেও যদি র্তাহার প্রকাশের সম্ভাবনা না থাকে, তবে তিনি থাকিয়াও নাই। সংশকের মূলধাতু অদধাতু, অদধাতুর অর্থ থাকা ; যিনি আছেন, তিনিই সৎ ; আর, তিনিই সংরূপে প্রকাশ পান ; তিনি যদি . মূলেই প্রকাশ না পান, তবে তিনি থাকিয়াও নাই—সং হইয়াও সৎ নহেন। তবেই হইতেছে যে, প্রকাশই সেই গুণ, যাহার বিদ্যমানতার বলে সৎ সৎ এবং যাহার অবিদ্যমানে সৎ সৎ হইয়াও সৎ নহেন। অতএব এটা স্থির যে সতের প্রকাশই সতের সত্ব, প্রকাশগুণই সত্ত্বগুণ। শাস্ত্রে বলেও তাই। সব শাস্ত্রই একবাক্যে বলে যে, প্রকাশই সত্ত্বগুণের বৈশেষিক পরিচয়লক্ষণ ।