পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\2) e হারামণির অন্বেষণ । এই সঙ্গে আর-দুইটি কথা দ্রষ্টব্য ; প্রথম দ্রষ্টব্য এই যে, নৈশ অন্ধকারের প্রতিযোগে যেমন দীপালোক পরিস্ফুট হয়, অপ্রকাশের প্রতিযোগে তেমি প্রকাশ । পরিস্ফুট হয় ; আবার রাত্রিকালে শয়নঘরের প্রদীপ নিভিয়া যাইবার সময় বিগত আলোকের প্রতিযোগে যেমন আগত অন্ধকার পরিস্ফুট হয়, তেন্নি প্রকাশের প্রতিযোগে অপ্রকাশও প্রকাশ পাইয় উঠে। ঘনঘটাচ্ছন্ন দ্বিপ্রহর মিশীথে যেমন বিদ্যুৎফুরণের সঙ্গে-সঙ্গে আলোক এবং অন্ধকার দোহে দোহার প্রতিযোগে অভিব্যক্ত হয়, আর সেই সময়ে যেমন ভেকধ্বনির উত্থান-পতনের সঙ্গে-সঙ্গে ধ্বনি এবং নিস্তব্ধতা দোহে দোহার প্রতিযোগে অভিব্যক্ত হয়, তেমনি, প্রকাশ এবং অপ্রকাশ দোহে দোহার প্রতিযোগে অভিব্যক্ত হয়। পৃথিবীর যেমন একপিঠে আলোক, আর-একপিঠে অন্ধকার ; প্রকাশমাত্রেরই তেমি একপিঠে প্রকাশ, আর একপিঠে অপ্রকাশ ; তা বই, নুনাধিক অপ্রকাশের সহিত একেবারেই সম্পর্কশূন্ত শুধু প্রকাশ–অমিশ্র প্রকাশ—অসম্ভব। তোমার নয়নমন যদি জন্মাবধি একাল পর্য্যন্ত নিদ্রা, তন্দ্রা, পলকপাত, আলস্ত্য এবং অবসাদ কাহাকে বলে, তাহা না জানিত ; তোমার চক্ষু যদি মীনচক্ষুর ন্যায় চিরোল্মীলিত হইত, আর সেই সঙ্গে তোমার মন যদি রাজদ্বারের সিপাহীর দ্যায় অনবরত তোমার চক্ষুর দেউড়িতে দাড়াইয় অপ্ৰমত্তভাবে পাহারা দিত ; আর, যদি তোমার সেই চিরাবহিত নয়নের সম্মুখে জলস্থল-আকাশঅন্তরীক্ষ হইতে তথৈব স্থাবর-জঙ্গম, নিজীব-সজীব, চেতনাচেতন সমস্ত পদার্থের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং বসনভূষণ হইতে ক্রমাগতই হ্রাসবৃদ্ধিবিহীন, ছায়াবিীন, বৈচিত্রবিহীন একরঙ আলোক বাহির হইত, তুহি ইলে তোমার এখনকার এ অবস্থায় তুমি এই যে বলিতেছ4