পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾Ꮣy হারামণির অন্বেষণ । আমি দেখিতে চাই। তোমার মুখে যে রা নাই! তবেই হইতেছে যে, স্থিতির নামই সৃষ্টিস্থিতিপ্রলয়। মোট কথাটা যাহা এখানে দ্রষ্টব্য তাহা এই – সুব্যক্ত জ্ঞানে বাস্তবিক সত্তা যাহা সৰ্ব্বত্র প্রকাশ পায়, যাহা তোমাতে প্রকাশ পায়, আমাতে প্রকাশ পায়, জীবজন্তুতে প্রকাশ পায়, তরুলতা উদ্ভিদে প্রকাশ পায়, কাঠলোষ্ট্রপাষাণে প্রকাশ পায়, স্বর্ণ রৌপ্য মণিমাণিক্যে প্রকাশ পায়, তাহা কিরূপ পদার্থ ? তাহা মোহের নিদ্রা নহে, কল্পনার স্বপ্ন নহে ; পরন্তু তাহা সূক্ষাৎ সত্য—তাহা জাগ্ৰত জীবন্ত সত্য। তবে এটা সত্য যে, যাহা কিছু আমরা দেখিতেছি শুনিতেছি সমস্তই ঘড়ি ঘড়ি রূপান্তরিত হইতছে। হউক না রূপান্তরিত ; তুষার রূপান্তরিত হইয়া হউক নp জল ; জল রূপান্তরিত হইয়া হউক না বাষ্প ; বাষ্প রূপান্তরিত হইয়া হউক না মেঘ ; মেঘ রূপান্তরিত হইয়া আবার হউক না জল ; জল রূপান্তরিত হইয়া আবার, হউক না তুষার ; যতই যাহ। রূপান্তরিত হউক না কেন । সবই সত্য ; সকলেরই সত্তা বাস্তবিক সত্তা ; কাহারো সত্তা আমাদের মনগড়া কাল্পনিক সত্তা নহে। এমনকি,যাহা কিছু আমরা মনে করি আমাদের মনগড়ামাত্র—যেমন স্বপ্নের হাতি ঘোড়া, তাহার ও ভিতরে বাস্তলিক সত্তা জাগিতেছে ; কেন না প্রতিধ্বনি যেমন রূপান্তরিত ধ্বনি, কাল্পনিক সত্তা তেমি রূপান্তরিত বাস্তবিক সত্তা । সংশব্দের অর্থ স্বতঃসিদ্ধ নিত্যবস্তু ; —সত্তামাত্রই সতেরই সত্তা—বস্তুরই সত্তা—বাস্তবিক সত্তা । সবই সতা—জাগ্রত জীবন্ত সত্য-— অদ্বিতীয় সত্য । সত্য এক, সত্যের প্রকাশ এবং অপ্রকাশ দুই। অপ্রকাশের প্রতিযোগে প্রকাশ আত্মসমর্থন করে। স্থলের অপ্রকাশ জলে, জলের অপ্রকাশ স্থলে ; দুয়ের এই দুই অপ্রকাশের প্রতিযোগে দুয়ের প্রকাশ