পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বন্দ্বরহস্ত। (tని ~ণ্ড ঘটয় উঠে। জলের প্রতিযোগে স্থল পরিস্ফুট হয়, স্থলের প্রতিযোগে জল পরিস্ফুট হয় ; রৌদ্রতাপের প্রতিযোগে বটচ্ছায়ার শৈত্য পরিস্ফুট হয়, বটচ্ছায়ার শৈত্যের প্রতিযোগে রৌদ্রতাপ পরিস্ফুট হয় ; বিদ্যুতের প্রতিযোগে ঘনান্ধকার পরিস্ফুট হয়, ঘনান্ধকারের প্রতিযোগে বিদ্যুৎ পরিস্ফুট হয়। ভূভূবঃ সুঃ এই যে অপরিমেয় বিরাট লক্ষণাক্রান্ত তিন তিনের প্রতিযোগে তিন পরিস্ফুট হইয়াছে। এটকিন্তু ভুলিলে চলিবে না যে, যাহার প্রকাশ, তাহরই অপ্রকাশ ; সত্যেরই প্রকাশ, সত্যেরই অপ্রকাশ ; সত্যকে ছোড়িয়া প্রকাশও কিছুই নহে, অপ্রকাশও কিছুই নহে ; নিখিল জগতের সমস্ত দ্বন্দ্ব-বৈচিত্র্য একই সত্যের নিশ্বাস প্রশ্বাস । আর একটি কথা মনে রাখা চাই এই যে ক্রমবিকাশের সোপান মাড়াইয় অপ্রকাশের শয্যা হইতে প্রকাশ মাথা তুলিয়া উঠিয়া দাড়ায়, তথৈব, ক্রমাবগুণ্ঠনের সোপান মাড়াইয়া, প্রকাশ, অপ্রকাশের সুখশয্যায় শুইয়া পড়ে। একদিকে প্রাতঃসন্ধার মধ্য দিয়া উষার মুখাবরণ অপসারিত হয়, আর এক দিকে সায়ুংসন্ধ্যার মধ্য দিয়া দিবা’র মুখে অবগুণ্ঠন পড়িয়া যায়। এক দিকে শরতের মধ্য দিয়া গ্রীষ্মঋতু শীতে পরিণত হয়, আর এক দিকে বসন্তের মধ্য দিয়া শীতঋতু গ্রীষ্ম পরিণত হয়। প্রাতঃসন্ধা, সায়ংসন্ধ্যা, শরৎ, বসন্ত এইসব মাঝের-মাঝের সন্ধিস্থান দ্বন্দ্বের জোড়স্থান। মনের আনন্দ তেন্নি- একটি দ্বন্দুের জোড়স্থান— জ্ঞানের পাওয়া এবং প্রাণের চাওয়ার শুভ সঙ্গম স্থান । আর একটি রহস্ত দেখিতে পাওয়া যায় এই যে, মিলন ও আবার দুইরূপ ; জ্ঞান যখন প্রাণকে প্রাধান্ত দ্যায়, তখনকার মিলনু একম্প রূপ। আবার, প্রাণ যখন জ্ঞানকে প্রাধান্ত দ্যায়, তখনকার মিলন আর একরূপ । দুইরূপ মিলনের আনন্দ ও দুইরূপ। জ্ঞান প্রধান