পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N) o হারামণির অন্বেষণ । AASAASAASAASAAeeAeeSeeAAASAASAASAeSeeSeSeeSeSeeSeSeeSAAAA মিলনের আনন্দ প্রাতঃসন্ধ্যার আনন্দ ; প্রাণপ্রধান মিলনের আনন্দ সায়ংসন্ধ্যার আনন্দ। প্রত্যুষে যখন তোমার ঘুম ভাঙিয়া খায়, তখন তোমার প্রাণের চাওয়া কোনদিকে দোঁড়ায় তাহ একবার ভাবিয়া দেখ। তখন তুমি বিছানা হইতে গাত্ৰোখান করিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হইয়া প্রকাশক্ষেত্রে বাহির হইতে পারিলে বাচো ; তখন তোমার প্রাণের চাওয়া যায় জ্ঞানোদয়ের প্রতি, কৰ্ম্মোদ্যমের প্রতি ৮ আর সেইজন্য তখন তোমার আনন্দ হয় জ্ঞানের প্রকাশ-জ্যোতিকে পাইয়া—কৰ্ম্মের উদ্যমার্ভিকে পাইয়। কিন্তু এখন রাত্ৰি আগত প্রায় ; তোমার চক্ষু বুজিয়া আসিতেছে এবং মুখে হাই উঠিতেছে। এখন তুমি জ্ঞানোদয়ের আনন্দও চাও না –কৰ্ম্মোদ্যমের আনন্দ ও চাও না ; এখন তুমি বিছানায় পড়িতে পারিলে বাচো ! তোমার এখনকার এ অবস্থার নিকটে অপ্রকাশের আনন্দই আনন্দ, বিশ্রামের আনন্দই আনন্দ, নির্ভাবনার আনন্দই আনন্দ, নিশ্চেষ্টতার আনন্দই আনন্দ। ক্ষুদ্র রহ্মাণ্ডে যেমন চাওয়া এবং পাওয়ার দুইরূপ মিলনের দুইরূপ আনন্দ হইতে জীবের নিদ্রাজাগরণ হয়, বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে তেমনি প্রকৃতিপুরুষের মিলনের আনন্দ হইতে দিনরাত্রি হয়, শুক্লপক্ষ কৃষ্ণপক্ষ হয়, উত্তরায়ণ দক্ষিণায়ণ হয়, ইত্যাদি ; এ সমস্তই স্মৃষ্টিস্থিতি প্রলয়ের আর এক নাম । আবার ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডে যেমন প্রাণ মন এবং জ্ঞান তিনে এক একে তিন, বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডে তেমনি অস্তি ভাতি এবং আনন্দ তিনে এক একে-তিন ; অর্থাৎ জীবাত্মা প্রাণবুদ্ধিমনস্বরূপ, পরমাত্মা সচ্চিদানন্দস্বরূপ। অস্তি’র সঙ্গে প্রাণের, ভাতি’র -মঙ্গে জ্ঞানের, এবং আনন্দের সঙ্গে মনের বা ইচ্ছা’র মিল যে কিরূপ তাহা একটু ভাবিয়া দেখিলেক্ট বুঝিতে পারা যাইবে । অতএব প্রণিধান কর –