পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাস্যকৌতুক

নটবরের প্রবেশ

 নটবর। (দৌলতের কান মলিয়া) কি রে শালা। শুনলুম না কি শালার শােকে সভায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দিয়েছিস?

 দৌলত। কে হে তুমি বেল্লিক। ভদ্রলােকের কানে হাত দাও।

 নটবর। ভগ্নীপতির কান মলব না তো কি কান ভাড়া করে এনে মলব! কি বলেন মশায়।

 কানাই। কথাটা তাে ঠিক বটে।

 দৌলত। কী বল হে কানাই! আমার স্ত্রীই নেই তাে আবার শালা কিসের?

 নটবর। তােমারই যেন স্ত্রী নেই, তাই বলে আর কারও স্ত্রী নেই? একটু ভেবে দেখাে না।

 দৌলত। স্ত্রী তাে অনেকেরই আছে তা আর ভাবতে হবে কী?

 নটবর। (হাসিয়া) তবে?

 দৌলত। (সরােষে) তবে কী। তুমি আমার শালা কোন্ সম্পর্কে?

 নটবর। কেন, দাদার সম্পর্কে। দাদা আছেন তাে! শালাই যেন ভাঁড়ালে কিন্তু দাদা বেকবুল গেলে তাে চলবে না।

 দৌলত। আমি তাে জানতেম, নেই, কিন্তু আজ যে-রকম দেখছি তাতে―

 নটবর। থাক, তাহলেই তাে চুকে গেল। বেশি বকাবকিতে কাজ কী। ভদ্রলােক বসে আছেন, এর সামনে কে শালা আর কে শালা নয় তা নিয়ে তকরার করা ভালাে দেখায় না।

দৌলতের পশ্চাৎ হইতে তাকিয়া টানিয়া লইয়া

 একটু জিরােনাে যাক। এক ছিলিম তামাক ডাকো।

৫৮