পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিভোপাখ্যান মাল। । > নিৰ্ব্বাণ পাইল । স্বীকার কৃরি, তোমা অপেক্ষ অনেক হীন ৰল আছে, কিন্তু সকলের উপর এক জন সবলগু আছেন মনে রাখিও । ৯ । পথে এক যুবাকে দেখিয়াছিলাম ষে এক ছাগ পশুর পশ্চাতে পশ্চাত্তে তাহার বন্ধন রজ্জ্ব ধরিয়া যাইতেছে। বলিলাম “ পোবিত পশুর জন্য রজ্জ্বর কি প্রয়োজন ? ইছাকে ছাড়িয়া দেও ! ” যুব| আমার কথানুসারে তাহাকে বন্ধন মুক্ত করিল। তখন ছাগপশু আহলাদে স্বত্য করিয়া দোঁড়িতে, লাগিল, কিয়ৎক্ষণ ক্রীড়া ও আমোদের ভাবে দোঁড়িল, পরে যুবকের নিকটে উপস্থিত ও তাছার সঙ্গে ২ চলিল। যেহেতু যুবা তাহাকে স্বহন্তে তৃণ পুঞ্জ খাওয়াইয়া ছিল, পশু তাছা বিস্তৃত হইতে পারে নাই। এই ব্যাপারে যুব{ পূৰুষ আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল, “মহাশয়! এই রজুর বন্ধনে পশু আমার সঙ্গে আগমনে বাধ্য হইতে চায় নাই, কিন্তু উপকার বন্ধন ইহাকে টানিয়া অগনিয়াছে । ” প্রমত্ত হস্তী উপকার পাইয়। হস্তিপকের অনুগত থাকে ; দুষ্ট উপকারে শিষ্ট হয় ; উপক্কত কুকুর প্রহরীর কার্য্য করে। ১s । কোন শ্রমজীবী প্রান্তরে এক শশককে দেখিতে পাইয় ছিল যে অহার একটাও পা নাই। ইহা দেখিয় সে ঈশ্বরের দয়া ও নিগূঢ় -কৌশলেতে চমৎরুত হইল, ভাবিতে লাগিল যে এই পদৰ্শন ক্ষুদ্র পশু কি প্রকারে জীবন ধারণ করে—কোথা হইতে অস্কার পায় ? এই বিচিত্র ব্যাপারের বিষয় চিন্তা করিয়া সে অবাকৃ হুইয়। রছিল। সে এরূপ ভাবিতেছে, এমত সময়ে হঠাৎ এক শাৰ্দ্দল এক শৃগালকে মুখে করিয়৷ তথায় উপস্থিত। ব্যাঘ্র সেখানে সেই শৃগালটকে ভক্ষণ করিয়া চলিয়া গেল, শশক তাছার উচ্ছিষ্টে উদর পূর্ণ করিল । • অন্য দিন ও শ্রমজীবী স্বচক্ষে দর্শন করে যে অন্নদাতা ঈশ্বর সেই ভাবে উপায়হীন শশকের আছার যোগাইয় দিলেন। বার বায় ইহা দেখিয় তাহার বিশ্বাস চক্ষুঃ উক্ষ্মীলিত হইল ; গৃহে আসিয়া বিধাতার প্রতি নির্ভর স্থাপন এরিয়া রছিল ; মনে এই স্থির সঙ্কল্প যে নির্জনে বসিয়া থাকিব, কোনfপরিশ্রম