পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১১৫

' se প্রথম অধ্যায় । , হইলাম।” এই সকল কথার পর ছাতম রাজকিস্তুরদিগকে ಗ್ಯ ೬ ঘোটকাদি উপহার দিয়া সম্মান সহকারে বিদায় করিলেশন রোমীয় সজাই এই বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া হাতমের অন্তরিক বীৰ্য মহত্ত্বের সহজ প্রশংসা করিলেন। ১৪ । : “ . . . . - এমন দেশে এক অতুল দানশীল যশঃপ্রিয় নরপতি ছিলেন। তাছার জন্ত মেঘের বারি বর্ষণের ন্যায় ধনরষ্টি করিত। একদা তিনি এক । মহোৎসব করিয়া দুঃখী দরিদ্রদিগকে অকাতরে দশম বিতরণ করিতে লাগিলেন । সেই উৎসব ক্ষেত্রে উপস্থার সম্মুখে কোন ব্যক্তি হাতমের প্রসঙ্গ করিল, অন্য এক জন ডাহার দানশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিল। তাছা শুনিয়া নরপালের অন্তরে ভুঃসহ ঈর্ষ্যানল প্রজ্বলিজ হইয়া উঠিল। মনে করিলেন যে হাতম জীবিত থাকিলে আমার ః খ্যাতি আর বিস্তৃত হইতে পরিবে না। ইহা ভাবিয়া স্থির থাকিতে পরিলেন মী, অবিলম্বে হাতমের প্রাণ সংস্থারের উদ্দেশে এক জন অনুচরকে প্রেরণ করিলেন । কৃতান্ত কিঙ্কর স্বরূপ সেই রাজ ফিঙ্কর ছাতমের ভবনাভিমুখে যাইতেছে, এমত সময়ে পথে এক যুবপুৰুষের সঙ্গে তাছার সাক্ষাৎ ছইল। সেই যুব প্রসন্নামন, জ্ঞানী ও মধুরভাষী ; তাছার হৃদয়হইতে বিশুদ্ধ প্রণয়ের সৌরভ বিনির্গত হইতে ছিল। রজনীতে তিনি উক্ত রাজকিঙ্করকে অভ্যাগত রূপে গ্রহণ করিলেন ও তাছার প্রতি অশেষ • যত্ন সমাদর ও শিষ্টাচার প্রদর্শন করিলেন, বিনয়ও সম্ভাবে রাজানুচরের পাষাণ সম কঠোর হৃদয়কে বিগলিত করিয়া দিলেন। অতঃপরনিশান্তে তাহার ছন্ত পদ চুম্বন করিয়া কিছু দিন অবস্থির জন্য সামুনয় অনুরোধ করিলেন। ভৃত্য বলিল “ সম্পতি বিলম্ব করিতে পারি না, যে হেতু এক গুহতর কার্ঘ্যের ভর আমার প্রতি অপিত অাছে।” যুব বলিলেন “ সে কাৰ্য্য কি? যদি আমাকে জানিতে দেও, আমিও এক হৃদয় বন্ধুর ন্যায় তোমার সহকারী ছইয়। তৎ সংসাধনে প্রাণপণে চেষ্টা করিব।” ভূত্য বলিল “. তোমার প্রশান্ত ভাব দেখিয়া বোধ হইতেছে, তুমি রহস্যভেদী হুইবে A অতএব বলিতেছি, শ্রবণ কর। তুমি অবগত থাকিবে এ দেশে