পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যান মালা । | ss tয়াছে। সকলের মধ্যে এক জন মাত্র শীতল ছায়াতে বাস করিতেছেন । ভাইর গঙ্গদেশে স্বর্গের স্বর্ণ আভরণ শোভা পাইতেছে। সে ইছ দেখিয় জিজ্ঞাসা করিল “মহাশয়! কে সদয় হইয় আপনাকে এরূপ সুখে রাখিয়াছে ? সেই ভাগ্যবান বলিলেন যে আমার গৃহদ্বারে জামার রোপিত একটা রক্ষ ছিল, একদা সেই তৰুচ্ছায়ায় এক সন্ন্যাসী পুৰুষ আসিয়া বিশ্রাম করেন। তিনি শ্রান্তি দূর করিয়৷ ঈশ্বরের নিকট এই রূপে ভিক্ষণ চান “হে সুখদাত পরমেশ্বর ! আমি ইছা হইতে মুখ ও বিশ্রাম পাইলাম, তোমাকু প্রসাদবারি ইছার মস্তকে বর্ষণ হউক, সেই মহাত্মার ঐ শুভাশীৰ্ব্বাদের বলেই চতুৰ্দ্দিকের এই নিরাশ ও দুঃখের ব্যাপারের মধ্যে আমার এই সৌভাগ্য ।” ১৯ } একদা নর পাল তোগলক শীতের রাত্রিতে নগর ভ্রমণে বহির্গত হইয়া এক নগরপ্রহরীকে দেখিলেন যে সে রষ্টি ও তুষারপাতে অভ্যন্ত কঁাপিতেছে। ইছ দেখিয় নরপতির হৃদয় দয়া রসে পরিপ্লুত হইল, তিনি বলিলেন “এই উষ্ণ তনুচ্ছদ তোমাকে দিব, ইহু: পরিধান করিয়৷ শীত নিবারণ কৱিবে । আমার প্রাসাদের নিম্নে মুহূৰ্ত্ত প্রতীক্ষণ কর, ভৃত্যদ্বারা ইহা পাঠাইতেছি।” রাজা অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয় গণল বাদ্য আমোদ প্রমোদে সুখে শয়ন করিলেন, স্থত ভাগ্য প্রহরীকে যে পরিচ্ছদ দিবেন বলিয়াছিলেন, ভুলিয়া গেলেন । সে প্রভাত পৰ্যন্ত প্রতীক্ষণয় কাল যাপন করিল। একে শীত কালীয় নিশা, তাহার উপরি আবার দীর্ঘ প্রতীক্ষর কষ্ট ভোগ করিতে হইল। প্রতুৰে রাজা সুখমুগু আছেন, তখন নহবতের সঙ্গে বংশিযোগে এই সঙ্গীতটা হইল। “ রাজন্‌! নেকবক্ত নামক প্রহরীকে ভুলিয়া রছিয়াছ, আনন্দ উল্লাসে তুমি নিশ যাপন কর, দুঃখী জনের রাত্রি যে কি প্রকারে গত হয়, তাহ কি বুঝিবে ? উত্তগু বালুকাময় পথে যাহার। গমন করে, ধনৰামৃ প্রাসাদে থাকিয়া তাছাদের বিষয় কি ভাবিবে ? হে পোতস্বল্পমন্‌? নৌক স্থির রাখ, উপায়হীন জলমগ্নগণকে উদ্ধার কর । হে যুবা বণিক? দুৰ্ব্বল রন্ধগণের কৃতি কর, তাছার তোমার সঙ্গে সমভাবে চলিতে পারেন । ভ্রাঃ ! তুমি