পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । هه . দেখিয়াছে তুমি মুখ শঙ্কায় মিত্র। যাইভেচ্ছ, সুদীর্ঘ অন্ধকার রাষ্ট্রর কথা কি জানিবে ? রোগের জ্বালায় যে হাছাকার করিতেছে, সেই রোগীই জানে রজনী কত দীর্থ। মুখ ও নিরাপদের অবস্থায় দুঃখী বিপরদিগের অবস্থা স্মরণ কর, হৃদয় কৃতজ্ঞতা ভারে মত হুইবে । ১০ । ঈশ্বর শর্কর খণ্ডকে রোগ নিবারক ঔষধ করিয়াছেন। পুপ মধু .রোগীর শরীর সুস্থ করে। এক ব্যক্তির মন্তক লৌহ দণ্ডের আঘাতে আহত • হইয়াছিল, কেহ বলিল “বেদন স্থলে চন্দন বিলেপন কর, আরোগ্য লাভ করিবে।” যত দূর পর ভয়ের কারণ হইতে দূরে থাক, কিন্তু বিধাতার বিধির সঙ্গে সংগ্রাম করিতে চাছিও না। মৃত্যু রোগের ঔষধ নাই, পাকাশয় যে পৰ্য্যন্ত অন্ন পান গ্রহণের উপযুক্ত থাকে, সে পর্যন্তই শরীরে কান্তি পুষ্টি 4 সেই সময় নিশ্চয় তোমার শরীর গৃহ ভয় হইবে, যখন অন্ন পানের সূঙ্গে যোগ থাকিবে না। অগ্নি জল বায়ু মৃত্তিক এই চতুভূতের পরম্পর সংযোগে দেহের স্থষ্টি হুইয়াছে। এই চারির একটীর শক্তি অন্যকে অতিক্রম করিলে দৈহিক প্রকৃতির সমতা বিধানের নিত্তি ভয় হইয়া যায় । যদি নাসিক যোগে শীতল বায়ু গৃহীত না হয়, তবে বায়ু কোষ উত্তপ্ত হইয়া প্রাণকে প্রপাড়ন করে। যদি ভুক্ত অন্ন পাকাশয়ে জীর্ণ না হয়, এই সুন্দর শরীর অকৰ্ম্মণ্য হইয়া যায়। তুমি মনে করিও না যে আহারেতেই শরীরের জীবনীশক্তি, ন, ঈশ্বরের অনুগ্রহ তাছাকে জীবিত রাখে। আমি ঈশ্বরের নামে বলিতেছি, সহজ কুচ্ছ সাধনেও উহার কৃজ্ঞতা খণ হইতে মুক্ত হইতে পরিবে না । ভূমিতলে প্রণত হইয়া প্রভুর প্রশংসা কর, সকল আমি করি, এই ভাব মনে স্থান দিও না । ১১ । প্রথমতঃ দাসের অন্তরে ইচ্ছার স্বষ্টি, তৎপর দাস হইতে ঈশ্বরের মুন্দিরে প্রণাম । ঈশ্বর যদি পুণ্যানুষ্ঠানে সাহায্য না করেন, মনুষ্য কি কখন তাছা করিতে পারে ? জিহৰা ঈশ্বরের অদ্বিতীয়ত্ব স্বীকার করিল, সেই জিছাকে আর কি দেখিতেছ, যিনি এই জিহাতে বাক্যের স্বষ্টি করিয়াছেন ডাছাকে দেখ । এই যে চক্ষুঃ বিশ্ব দর্শন করিতেছে, ইছা ঈশ্বর