পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। বিনয় । । কোন যুব দেশ ভ্রমণ করিতে২ দরবন্ধ নগরে উপনীত হইয়াছিলেন । তিনি তথাকার এক মসজিদে যাইয়া অবস্থান করেন। এক দিম সেই •ভজুনালয়ের অধ্যক্ষ, মন্দির পরিষ্কার করিবার জন্য র্তাহাকে আদেশ করিলেন । যুব এই অনুমতি শ্রবণ মাত্র বাছির হইয়া চলিয়া যান। ইছাভে অধ্যক্ষ এবং মন্দিরের কৰ্ম্মচারীগণ মনে করিলেন যে পরিব্রাজক যুবা ভজনালয়ে সেবক হইতে সঙ্কুচিত। অন্য দিন এক ভৃত্য রাজপথে উাছাকে দেখিতে পাইয়া বলিল “তুমি দুৰ্ব্বদ্ধি বশতঃ অন্যায় করিয়াছ হে অভিমানী বালক জাননা কি যে দাসত্বে লোক উন্নত হয়। * তখন সরল মতি যুবক অশ্রুপূর্ণ নয়নে বলিলেন “বন্ধো! সেই স্থানে আঁমি ধূলি আবর্জন কিছুই দেখিতে পাই নাই। সেই পবিত্র ভূমিতে আমিই অপবিত্র ছিলাম, সুতরাং তথা হইতে বাছির হইয়া আসিয়াছি । ভজনালয়ের পুণ্য ভূমি মাদৃশ আবর্জন হইতে বিমুক্ত থাকাই বিধেয় । ” “ মত হওয়া অপেক্ষ ঋষির অন্যতর শ্রেষ্ঠ পথ মাই। যদি তুমি উন্নতি চাও, তবে অবনতি স্বীকার কর । যে হেতু তাছা ব্যতীত সেই আটালিকায় আরোহণের অন্য সোপান নাই । ১ । একদা ইদোৎসব দিনের উষাকালে মহর্ষি অর্ণব। এজিদ স্নানাগার হইতে বাছিরে আসিতেছিলেন, ইতি মধ্যে কেছ অজ্ঞাতসারে গৃহ পটল হইতে র্তাস্থার মস্তকে কতক গুলি আবর্জন ঢালিয়া দেয়, তাছাতে মছর্ষির কেশ গুচ্ছ ও উঞ্চির্য মলিন হুইয়া যায়। এই অবস্থায় তিনি বিনম্র ভাবে শিরে হস্তাপণ করিয়৷ এই বলিলেন “ আমার আত্মা নরকাগ্নির উপযুক্ত এই জঞ্জাল রাশি মস্তকে পতিত হওয়াতে কি আমি বিরক্ত হইব ?” ধৰ্ম্মপরায়ণ লোকের নিজের প্রতি দৃষ্টি রাখেন না। যেখানে আত্ম দৃষ্ঠ, সেখানে ধৰ্ম্ম নাই। ধার্থিকতা পদ মর্যাদা ও বাকপটুতার মধ্যে নয়,