পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ তৃতীয় অধ্যায় । লজ্জ ও অনুতাপানলে দগ্ধ হইয় বার বীর ঈশ্বরের নিকট ক্ষমা চছিড়ে লাগিল । মেঘের জল ধারার ন্যায় উভয় চক্ষুঃ হইতে শোকাঙ্ক ধারা বর্ষণ করত বলিতে লাগিল “ হয় । অামার জীবন বিফলে গিয়াছে; আমি প্রিয়তম জীবন রত্বের অপব্যয় করিয়াছি; তদ্বারা পুণ্য পণ্য কিছুই হস্তগত করি নাই। কখনও যেন আমার ন্যায় কেছ জীবিত না থাকে। মাদৃশ ব্যক্তির জীবন ধারণ অপেক্ষ মরণ শ্রেয়ঃ । শৈশবে যাহার মৃত্যু হইয়াচ্ছে, রদ্ধ কলে যৌবনের পাপ যন্ত্রণ ভোগ করিতে হয় নাই, বাস্তবিক সে ৰচিল্লছে । হে ঈশ্বর ! এ পাপীর পাপ ক্ষমা কর ” । একান্তে থাকিয়৷ ” সেই রন্ধ পাপী বার ২ অর্তেনাদ করিয়া বলিতে লাগিল “ হে পতিত পাবন । আমার প্রাগন। শ্রবণ কর”। সে অনুতাপ ও লজ্জাভারে অধোমুখে রছিল । সমুদার রাত্রি শোকাগুরুতে তাছার বক্ষঃস্থল ভাসিয়। গেল । - به এ দিকে কুটিরবাসী অহঙ্কার ঋষি রূদ্ধের প্রতি কুটিল কটু দৃষ্টি কবির বলিল “ এই পাসগু আমাদের নিকটে কেন ? এরূপ হতভাগ্য দুরত্ব কি আমাদের অনুগামী হুইবার উপযুক্ত ? এ অগ্নিকুণ্ডে আকণ্ঠ নিমগ্ন রছিয়াছে, রিপূবশ হুইয়। সমগ্র জীবন ক্ষয় করিয়াছে, তাহার পাপ কলুষিত জীবনে এমত কি পুণ্য আছে যে আমার এবং ভগবান ইনার সহবাস লাভের উপযুক্ত হয় ? তাহার রণিত আরতি দর্শনে আমার কষ্ট হয়। তাছার পাপান্নি অসিয়া বা অামাকে স্পর্শ করে ?” এই সময়ে মহর্ষি ইমার প্রতি এই প্রত্যাদেশ হুইল । “ এই পাপাচারী . জ্ঞানবান হউক বা অজ্ঞান, তHমি তাছার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলাম। এই হতভাগ্য জীবন কে নষ্ট করিয়াছে বটে, কিন্তু এক্ষণ শোক যন্ত্রণায় আকুল হইয়। আমার নিকটে ক্রন্দন করিতেছে, দীন নিরাশ্রয় হইয় যে আমার সন্নিধানে ত্যাগমন করে, অামি আমার মন্দির হইতে তাছাকে বিদায় করিতে পারি না। অদ্য এ পম্পীর পাপ পুঞ্জ ক্ষম হুইল । আমি আপিন দয়। গুণে তাছাকে স্বর্গে গ্রহণ করিব । সে স্বর্গ নিকেতনে খাসিদের সহবাসে থাকিবে । এই অহঙ্কারী ধৰি এই রুদ্ধকে আর অধাৰ্ম্মিক বলিয়া কেন স্ত্রণ করে। যখন শোক তাপে ইহার হৃদয় দগ্ধ হুইয়াছে, ইহাকে আমি স্বৰ্গে