পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ তীয় অধ্যtয় । দরিদ্র মহাদুঃখে দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া যে আসনে ছিলেন তাহা ছাড়িয়া নীচে বসিলেন । এ দিকে কাজির পরিষদ পণ্ডিতগণ শাস্ত্র বিচার আরম্ভ করিলেন । কেহ বলেন, ইছাই সত্য, অন্যে বলেন নয় ; এরূপে পরস্পরের মধ্যে তুমুল বাগৰিতও ও বিবাদ আরম্ভ হইল। কুকুট কুলের যুদ্ধের ন্যায় ইহঁদের মধ্যে বিষম যুদ্ধ উপস্থিত। এক জন ক্রোধে উন্মত্তবৎ অজ্ঞান হইয়া উঠিলেন, অন্য জন দুই হস্তে মৃত্তিকার উপর আঘাত করিতে লাগিলেন। বিচার্য বিষয়টা জটিল ছিল, অনেক চেষ্টা ফক্সি কেছই সিদ্ধান্ত করিতে পারিলেন না। সেই দৃঢ়গ্রন্থি কাছার দ্বারা ' উন্মোচিত হইল না। তখন প্রান্তস্থিত সেই ছিন্ন বসন পরিধায়ী দরিদ্র সিংহের ন্যায় গর্জন করিয়া উঠিলেন । “ উজ্জ্বল প্রমাণ, পরিষ্কার মীমাংসার বল চাই ; কণ্ঠের বলে বিচার ছয় না । * দরিদ্র বলিলেন “ বিচাৰ্য্য বিষয়ে আমার বক্তব্য আছে, অনুমতি হইলে বলিতে পারি।” পণ্ডিতগণ বলিলেন “ যদি উত্তম বলিতে জান, বল । * তখন সেই দরিদ্র পঞ্জিত স্বীয় বাগিত রূপ তুলিকা দ্বারা শ্রোতাদিগের হৃদয় পটে উজ্জ্বল ছবি অঙ্কিত করিয়া দিলেন । তিনি বাহ সঙ্কীর্ণ পথ পরিত্যাগ করিয়া প্রশস্ততত্ত্ব রাজ্যের ভূমিতে উপস্থিত ছিলেন। পশুিভদিগের সমুদায় আপত্তি পরিষ্কার রূপে খণ্ডন করিলেন । সভার চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে র্তাহার বুদ্ধিও অভিজ্ঞতার সহস্র প্রংশস স্থনি উন্থিত হুইল । পণ্ডিত বাগিতারূপ অশ্বকে এ প্রকার সতেজে চালাইয়াছিলেন যে কাজি তাহা দেখিয় কর্দম মগ্ন গর্দভের ন্যায় কতক্ষণ স্থির নিস্তব্ধ হইয়া রছিলেন। পরে সহসা ঐ সভা মণ্ডপ • হইতে বাহির হুইয়া অসিলেন । এবং আপন উঞ্চিষ সেই পণ্ডিতের সম্বৰ্দ্ধনার জন্য উপস্থিত করিলেন ও বলিলেন “ হায় ! ! ভবাদৃশ লোকের মৰ্য্যাদা বুঝিতে পারিয়াছিলাম না । আপনার শুভাগমনের জন্য যথোচিত অভ্যর্থনা ছয় নাই। ছায়২ ! এরূপ গুণবান্‌ আপনি, আপনাকে আমি পূৰ্ব্বে কি ভাবিয়ছিলাম ! ” যখন কাজির ইঙ্গিতক্রমে ভৃত্য বিনীতভাবে নিকটে আসিয়া পণ্ডিতের মস্তকে উঞ্চিম বধিতে চাহিল, তখন তিনি হস্ত সঞ্চালনে নিবারণ করিয়া বলিলেন “ আমার মস্তকে অহঙ্কার শৃঙ্খল অৰ্পণ করিও না। যেহেতু