পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o fহতোপাখ্যান মালা । כללי বুদ্ধমান নয়। জ্ঞানবান লোকে অত্যাচার প্রাপ্ত হইয়াও বিনয়শূন্য झम न} | ७ | , একদা গোরখগ্রাম নিবাসী মছাত্মণ মারুফের অলয়ে এক রোগী অথিতি হুইয়াছিল । তাছার সঙ্কট রোগ ছিল । পীড়ার প্রাবল্যে তাছার কলেবর শীর্ণ মলিন হুইয়। গিয়াছিল ! প্রাণ যেন শরীরে কেশস্থত্রকে অবলম্বন করিয়া স্থিতি করিতেছিল । সে মাৰুফের গৃহেই রজনী যাপনের * জন্য শয্যা প্রসারিত করে । এবং তথায় আসিয়াই রোগ যন্ত্রণায় জ্ঞপ্তনদ ও বিলাপ করিতে থাকে। রাত্রিতে তাছার এক মুহূৰ্ত্তও নিদ্র। হুইত না, তদীয় চীৎকারে অন্য কেহও নিদ্র। যাইতে প্লারিত না। সেই রোগার স্বভাব খিটখিটে ও কঠোর ছিল । নিজে মরিত না, লোককে কটুক্তি করিয়া মারিত। তাছার উঠা বস আৰ্ত্তনাদ চীৎকারে কোন ন্মুেক নিকটে থাকিতে পারিত না । সেই গৃহে সেই পীড়িত এবং মাৰুফ ব্যতীত অন্য কেহই ছিল না । শুনিয়াছি মারুফ ক্রমাগত অনেক রাত্রি উক্ত রোগীর পরিচর্য্যার অনুবুেধে ক্ষণকালও চক্ষে নিদ্রা আসিতে দেন নাই। ভূতের ন্যায় সৰ্ব্বদ নিকটে উপস্থিত থাকিতেন, সে যখন যাহা বলিত, তাছা করিতেন। অনিদ্রিত ব্যক্তি আর কত কাল ধৈর্য্য ধারণ করিবে ? এক দিন তিনি নিদ্রীয় আক্রান্ত হইলেন । এক মুহূৰ্ত্ত যে র্তাহার চক্ষুঃ মুদ্রিত ছিল, তাহাতেই অপিতি, এ প্রকার নানা প্রলাপ ও কটুক্তি করিতে লাগিল “এরূপ লোকের জঘন্য বংশকে ধিকৃ, তাছার মান সন্ত্রম বুদ্ধি কৌশলকে ধিক্ ! মহৎ লোকের উৎক্লষ্ট পরিচ্ছদ পরিধান করে, প্রবঞ্চকের ঋষির বেশ ধারণ করিয়া থাকে। লোভী ঔদরিক নিদ্রায় বিহবল থাকিয়া উপায় হীন রোগী যে চক্ষুঃ মুদ্রিত করিতে পারে না কি বুঝিবে।” এই এক মুহূৰ্ত্ত কাল তাছার শুশ্রষার শৈথিলা দেখিয়া কেন নিদ্রিত হইলেন এজন্য সে মাৰুফকে অনেক গলি দেয় । মারুফ স্নেহপরায়ণ হৃদয়ে এ সকল কথাকে কিছুই মনে করেন না। কিন্তু ভাঙ্গর পরিবারস্থ অনেকে এই সমস্ত কটুক্তি শুনিতে পাইয়াছিল, গোপনে স্ত্রী আসিয়া বিরস মুখে বলিল