পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

航や তৃতীয় অধ্যায় । করিলেন, এবং বলিলেন যে আমার উক্তিতে দোষ আছে, ইহার বাকাই যথার্থ। এ আমি অপেক্ষ উত্তম বলিয়াছে, ইছার এই কথাই সার * ঈশ্বরই জ্ঞানবান, তাছার জ্ঞানের উপর কাছারও জ্ঞান নয় । ” যদি আলির ন্যায় গৌরবান্বিত পদে অন্য কেহ থাকিতেন এবং কেছ এরূপ বলিত, নিশ্চয়ই তিনি অভিমানভরে বক্তার প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেন ন। দেবারিক তাছাকে অপমান করিয়া সভা হইতে বাহির করিয়া দিত এবং বলিত “ আর দুৰ্ব্বিনীত হইও না, মহাত্মা লোকের নিকটে এই ভাবে কগণ বল বিনয়াচার বিরুদ্ধ। ” সাহার শিরোভাণ্ড কেবল অহঙ্কারে পরিপূর্ণ, মনে করিও না যে সে কখন সত্যের প্রতি মনোযোগ করে | জ্ঞানের কথা শ্রবণে উপহার মনে ক্লেশ হয়, উপদেশে সে কষ্ট অনুভব করে । বারি বর্ষণে লাল পুষ্প পাষাণের উপর প্রস্ফুটিত হয় না। মৃত্তিকাতেই কুসুমের বিকাশ হয়, এবং তৃণপত্র হরিৎ শোভা ধারণ করে। যাহার হৃদয় অহংজ্ঞান ও অভিমানে eন্তরের ন্যায় কঠিন, উপদেষ্ট ! তুমি সে স্থানে উপদেশবারি বর্ষণ করিও ন । যে আপনার গুণ গরিম স্বয়ং প্রকাশ করে, সে লোকের প্রীতি আকর্যণ করিতে পারে না । আত্ম গুণ বলি ও না, তবে লোকে তোমার গুণ বলিবে । যদি নিজেই বলিলে, তাহ হুইলে আর কাছারও নিকটে প্রত্যাশা রাখিও না । ১৮ । এক অনাথ ভিক্ষুক কোন সঙ্কীর্ণ স্থানে বসিয়ছিল । মহাত্ম ওমর x হঠাৎ তাছার পদ পৃষ্ঠ মারাইয়। গিয়াছিলেন । দরিদ্র জানিত ন৷ যে ইনিকে। ব্যথিত ব্যক্তি সহজে শক্র মিত্ৰ বুঝিতেও পারে না । সে উত্তেজিত হয়। বলিল “ ওছে তুমি কি অন্ধ ?” শ্রদ্ধের ওমর বলিলেন “অন্ধ নই, ন জানিতে পারিয়৷ অপরাধ করিয়াছি, ক্ষমা কর । ” হা ! ধৰ্ম্মপরায়ণ মহাপুৰুষ দিগের কীর্শী উচ্চ নীতি, তাহার। সামান্য লোকের প্রতিও কত বিনীত । প্রকৃত জ্ঞানী স্বভাবতঃ বিনয়-নম ছন, ফল পূর্ণ শাখ মত্তিকার অভিমুখে মস্তক নত করিয়া থাকে। অহঙ্কা ।


----- - - - ------ -

• ওমর মহম্মদের এক প্র ধ1ম শষ্য স্থলেম ।