পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। প্রেম | কোন পথিক পিপাসায় মুমূযু হইয়া বলিয়াছিলেন, “ ধন্য সেই ভাগ্যবান, যিনি জলেতে নিপতিত হইয়া—আকণ্ঠ জল পান করিয়া প্রাণ বিসর্জন করিয়াছেন ” ইহা শুনিয়া এক বালক বলিল “ পান্থ! তোমার মুখে আশ্চৰ্য্য কথা শ্রবণ করিলাম, যদি মরিতেই হয় জলাভাবে শুষ্ক কুণ্ঠে মরিলেই বা কি ? পৰ্যাপ্ত জল পান করিয়া প্রাণত্যাগ করিলেই বা কি ? মুমূর্বু বলিল “তথাপি অন্তিম কালে জলপানে সস্তৃপ্ত হওয়া যায়।” গভীর জলাশয়ে পতিত তৃষ্ণাৰ্ত্ত যখন মনে করে যে সে জলপানে পরিতৃপ্ত হইয়৷ ডুবিয়া মরিতেছে, তখন তাহাও তাহার এক সান্তন। যদি তুমি প্রেমিক বট, প্রিয়তমের অঞ্চল ধারণ কর। তখন তিনি যদি তোমাকে বলেন, প্রাণ দাও, মুক্তকণ্ঠে বল যে এই প্রাণ সমৰ্পণ করিতেছি, গ্রহণ কর | ১

  • অবগত আছে যে নেশাপুরের এক ব্যক্তি আপন পুত্রকে এক দিন নৈশিক উপাসনায় বিমুখ দেখিয়া কি বলিয়াছিলেন ? এই বলিয়াছিলেন “ হে পুত্র । এরূপ আশা করিও না যে সাধন ব্যতীত লক্ষ্য স্থানে উপস্থিত হইতে পারবে। যে যবার রুবিকৰ্ম্ম ব্যতীত স্বতঃ ভূমিতে উদগত হয়, তাহার যথোচিত বৃদ্ধি হয় না ; তাহ হইতে কেহ শস্য লাভ করিতে পারে না । তদ্রুপ সাধন ব্যতিরেকে স্বতঃ ধৰ্ম্ম লাভ হয় না ; যে সকল সাধুভাব জীবনে স্বভাবতঃ প্রকাশ পায়, তাহ সারবান স্বৰ্গীয় শস্য প্রসব করে না । লাভের প্রত্যাশী হও, ক্ষতিকে ভয় কর । যে প্রীতির সহিত ঈশ্বরকে স্মরণ করে না, তাছার জীবন অসার । তাছাকে প্রেম কর, প্রীতিতে র্তাহার সাধন কর /* ২ ।

এক যুবতী স্বামীর নিষ্ঠুরাচারে দুঃখিত হইয়া শ্বশুরের নিকটে এই রূপ গ্লানি করিয়াছিল “ আর্য্য ! এই যুবার সঙ্গে এ প্রকার অসুখে দিন যাপন