পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ሉ8 চতুর্থ অধ্যায় { করা আর অধিক কাল উচিত মনে করিও না, প্রতিবেশীদিগের মধ্যে কাহাকেও আমার ন্যায় ভগ্ন হৃদয় দেখিতেছি না । সকল দম্পতীই এরূপ প্রণয় স্থত্রে বদ্ধ, যেন একই ত্বকের মধ্যে দুইটা বীজ আরত রছিয়াছে। কিন্তু আশ্চৰ্য্য এত কালের মধ্যে স্বামী একবারও আমার মুখের দিকে চাহিয়া হাস্য করিলেন না । ** বকৃচতুর বৃদ্ধ হই শ্রবণ করিয়া বলিলেন “ যদি আমার পুত্ৰ কান্তিশালী বটে, তবে তাছার আচরণে ধৈর্য্য ধারণ কর।” t `कँइब्रि তুল্য রূপবান জগতে দুর্লভ, উহার প্রতি বিমুখ হওয়া দুঃখের বিষয় । তাছা হইতে কেন দূরে থাক ? বিনীত ভূত্যের ন্যায় ঈশ্বরের ইচ্ছাকে মস্তকে বহন কর, তিনি পরম সুন্দর, তাহ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ আর কেহ নাই । ৩ { একদা এক দাসকে তাহার প্রভু বিক্রয় করিতেছিল, সেই দাসের তখনকণর প্রণয় মধুর বাক্য শুনিয়া আমার প্রাণ আকুল হইয়াছিল। দাস বলিল “ স্বামিন। আমি অপেক্ষ তুমি উত্তম ভূত্য পাইবে, কিন্তু দুঃখের বিসয় আমি তোমার ন্যায় প্রভু আর কাহাকেও পাইব না। ” ৪ । e কোন যুবক এক যুবতীর পাণিগ্রহণ করে। স্বামী স্ত্রী উভয়েই পরম সৌন্দৰ্যশালী ছিল। যুবতী পতির প্রতি একান্ত অনুরাগিণী । কিন্তু যুবতীর প্রতি যুবকের অত্যন্ত বিরাগ ছিল। যুবতী স্নেহ প্রেম প্রদর্শন । করিত, যুবক প্রাচীরের দিকে মুখ ফিরাইয়া থাকিত। যুবতী বেশ ভূষাদ্বারা শরীরসজ্জা করিত, যুবক অসন্তুষ্ট হুইয়া চলিয়। যাইত । একদা গ্রামস্থ প্রাচীন লোকেরা যুবককে ডাকিয়া বলিলেন “ আপন ভাৰ্য্যাকে ভুমি arন কর না, ইহা উচিত নয়। তাছাকে প্রীতি দান করিতে হইবে।” যুবক হাস্য করিয়া বলিল “ শত ছাগের কাবিন (পরিণয় পত্র ) আছে, তাহা দান করিয়া যদি আমি এই স্ত্রীর বিবাহবন্ধন হইতে মুক্ত হইতে পারি, কিছুই ক্ষতি মনে করি না।” ইহা শুনিয়া সুন্দরী বক্ষে করাঘাত করিয়া বলিল “ছায়! এই পরিণয়পত্রের অনুরোধে কি আমি প্রাণনাথের