পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । نه এক ব্যক্তি পতঙ্গকে বলিয়াছিল, “ছে ক্ষুদ্র জীব ! যাও, আত্মতুল্য বস্তুর সঙ্গে যাইয়। প্রেম কর । সেই পথে চল, যাহাতে, মনোরথ সফল হুইবে । কোথায় তুমি, আর কোথায় দীপ আশ্চৰ্য্য, তাহার সঙ্গে তোমার বন্ধুতার ইচ্ছা ! অগ্নির পর্শ্বে যাইও না। এখানে পুৰুষত্ব চাই । স্বৰ্য্যোদয় হইলে মূষিক গৰ্ত্তে পলায়ন করিয়া থাকে। বলবানের নিকটে দুৰ্ব্বলের সাহস প্রদর্শন, মূখতা। যাহকে শত্র বলিয়া জান, তাছাকে বন্ধুভাবে গ্রহণ করিতে যাওয়া বুদ্ধির কার্য নয়। পরিণামে যে প্রাণ উৎসর্গ কর, তাছাকে সৎকাৰ্য্য কেহ বলিবে না । যে ভিক্ষুক রাজকন্যার পরিণয়ার্থী হয়, সে অৰ্দ্ধচন্দ্র লাভ করে । উছ। তাছার হুরভিসন্ধি ও বাতুলতা মাত্র। যাহার প্রতি রাজ্যেশ্বরদিগের সনুরাগ দৃষ্টি, সেই উজ্জ্বল দীপ তোমাকে কেন বন্ধুর স্থলে গণ্য করিবে । ইহা মনে করিও ন। যে তদ্রুপ সভাতে তোমার ন্যায় অকিঞ্চনের সঙ্গে দীপ প্রণয় সম্ভাষণ করিবে । যদিচ সকল লোকের সঙ্গে সে প্রীতি মধুর ব্যবহার করে, কিন্তু তুমি নীচ প্রাণী, তোমার প্রতি ক্রোধই প্রকাশ করিবে । ” শ্রবণ কর, সন্তপ্ত পতঙ্গ কেমন সুন্দর কথা সকল বলিল ওছে আশ্চৰ্য্য। আমি দগ্ধ হই, তাহাতে ভয় কি ? মহাত্মা এব্রাহিমের ন্যায় প্রেমাগ্নি আমার অন্তরে জ্বলিতেছে, তুমি মনে করিতেছ তাহ অগ্নি, কিন্তু আমার সম্বন্ধে উহ! পুষ্প । আমার হৃদয় প্রেমাম্পদের অঞ্চল আকর্ষণ করে না, তাহার প্রেমই আমার আত্মার কণ্ঠকে ধরিয়া টানিতেছে । আমি স্বতঃ প্ররক্ত হইয়া অগ্নি শিখায় বীপ দিতেছিনা, প্রেমের শৃঙ্খল আমার কণ্ঠে সংলগ্ন রছিয়াছে, তাছাই আমাকে টানিয়া আনে। দেখ, এরূপ দূরে অাছি, এইক্ষণ আমার উপর অগ্নি প্রজ্বলিত নয়, অথচ অগ্নি দগ্ধ করিতেছে । বন্ধুর প্রেমের অনুরোধে কে কি উৎসর্গ করে ? আমি বন্ধুর চরণে প্রাণ উৎসর্গ করিতে সম্মত আছি। আমার মৃত্যু কি জন্য, জান ? যখন তিনি আছেন, তখন আমার নাথাকাই ভাল। বন্ধু কোমল স্বভাব বটেন, এজন্যও আমি দগ্ধ হই যে আমার দাহু যন্ত্রণ র্তাছার হৃদয়ে সংক্রমিত হুইবে । অামাকে তুমি আপনার উপযুক্ত বন্ধু লাভ করিবার জন্য অনেক কথা বলিলে, তোমার সেই উপদেশ আমার সন্তপ্ত হৃদয়ে