পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যান মাল৷ ( R এরূপ কার্যকর হইল, যেমন কাহাকে বিশ্চিকে দংশন করিয়াছ। ‘আন্তনাদ ક્રિક જ્ઞા’ કરે উপদেশ তাছার সম্বন্ধে যেরূপ ফলোৎপাদক হয়। ভ্রাতঃ ! যাহার নিকটে উপদেশ গৃহীত হইবে না, তাছাকে উপদেশ করিও না । যে স্থতভাগার হস্তে রাশ নাই, তাছাকে ‘ অশ্ব সংযত কর " এই কথা বলা উচিত নয়। প্রেম অগ্নি স্বরূপ, উপদেশ বায়ু, ছন্দবাদ গ্রন্থের এই কথাটা অতি মধুর। বায়ু সংযোগে অগ্নি প্রজ্বলিত হয়, শাৰ্দ্দলকে লগুড়াঘাত করিলে তাহার ক্রোধ বাড়ে । বিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখিলাম, তুমি ভাল বলিতেছ না । তুমি বলিতেছ আত্ম সদৃশ বস্তুর সঙ্গে প্রেম কর, আমি বলি, আপন অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ বস্তুর সঙ্গে প্রীতি স্থাপন কর, আত্ম তুল্য বস্তুর সঙ্গে প্রণয় করিয়া সময় নষ্ট করিও না। আত্মসুখপ্রিয় লোকেরাই আপনার অনুরূপ ব্যক্তির অনুগমন করে, কিন্তু প্রেমোন্মত্তগণ ভয়সস্কুল স্থানে বিচরণ করিয়া থাকে। যখন আমি এ কার্ষ্যে প্ৰৱক্ত হুইয়াছি, মস্তক থাকুক বা যাক, আমার এই সঙ্কল্প । যদি প্রকত প্রেমিক হও, মস্তক দান কর । যাহার। আপনার প্রতি আসক্ত, তাছপরই ভীৰু হয়। শমন আসিয়া অকস্মাৎ এক দিন আমাকে বধ করিবেই। তাহু অপেক্ষ ইহা ভাল যে প্রিয়তমের হস্তে হত ছই। মৃত্যু যখন বিধির নিশ্চিত লিপি, তখন প্রাণধার বন্ধুর হস্তেই মৃত্যু হওয়া মুখের বিষয়। এক দিন কি চতুৰ্দ্দিক অন্ধকার দেখিয়া প্রাণত্যাগ করিব না ? তাছ হুইলে প্রিয়তমের চরণেই প্রাণ বিসর্জন করা শ্রেয়ঃ । * ১০ স্মরণ অাছে, এক রাত্রি আমার, চক্ষে নিদ্রা হইয়াছিল না। পতঙ্গ ও দীপে যে কথোপকথন হুইয়াছিল, শুনিতে পাইয়াছিলাম। পতঙ্গ বলিল “আমার দগ্ধ হওয়া অন্যায় নছে । দীপ! তোমার শোকাগুরুপাত কেন ? এবং দগ্ধ হওয়াই বা কেন?” দীপ বলিল যে ছে আমার উপায়হীন প্রেমিক ! আমার বন্ধু মধু আমাকে ছাড়িয়া গিয়াছে, সেই বন্ধ পরিত্যাগ করাতেই আমার মস্তকে অগ্নি লাগিয়াছে। প্রজ্বলিত মধুথবর্তিকা এই কথা বলিতে বলিতে শোকপাণ্ড মুখ মণ্ডলের উপর ধুম রূপ অশ্রু জোত প্রবাহিত করিল এবং এই রূপে বিলাপ করিতে লাগিল “ রে শত্ৰ ! প্রেম করা তোর