পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিভোপাখ্যাম মালা । *ఫి এক শিশুর দন্তোম্ভেদ হইলে পিতা চিন্তা ভীরে অধোবদন হইয়। এই বলিতে লাগিল “ আমি কোথা হইতে ৰুটী আনিয়া যোগাইব, পুত্রকে পরিত্যাগ করাও মনুষ্যত্ব নয়। ” যখন সেই হতভাগ্য তাছার স্ত্রীর নিকটে এই কথা বলিল, দেখ স্ত্রী তাহাকে কেমন পুৰুষোচিত বাক্যে প্রবোধ দিল । “ পাপ দৈত্যের মায়ায় ভীত ও প্রতারিত হুইও না। ধৈর্য্য ধারণ কর, যিনি প্রাণ দান করেন, তিনিই দন্ত দেন ও ৰুটিক দান করেন । সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর জীবিকা প্রেরণের ক্ষমতা রাখেন, তুমি আকুল হইও না। জড়ায়ু ‘কোষে শিশুর রচনাকারী ঈশ্বরই জীবন ও জীবিকার লিপি কর।” . যে ব্যক্তি দাস ক্রয় করে, সে দাসকে প্রতিপালনও করিয়া থাকে । পরম প্রভু ঈশ্বর দাসের স্থষ্টি কৰ্ত্তা, তিনি কি প্রতিপালন কৰ্ত্ত নন ? পার্থিব প্রভুর প্রতি দাসের যত দূর নির্ভর, স্বগীয় প্রভুর প্রতি হে মন । তোমার তত দূর নির্ভর নাই । যখন শিশুর অন্তর লোভ-মুক্ত থাকে, তখন আছার নিকটে মুদ্র মুষ্টি ও মৃত্তিক মুষ্টি তুল্য। রাজ্যেশ্বরের উপাসক লোভী দরিদ্রকে এই সংবাদ দাও যে ধন স্বামী রাজা দরিদ্র প্রজা অপেক্ষ। দীন। একটা তামু মুদ্রায় সাধু হৃদয় দরিদ্র এক রৌপ্য মুদ্রার রুতার্থতা লাভ করে, কিন্তু সম্রাটু, ফরেন্থ সুবিশাল আজম্ দেশ পাইয়াও কিয়ৎ পরিমাণে কৃতাৰ্থ হইয়া ছিলেন কি না সন্দেহ । রণজ্যৈশ্বৰ্ষ্য রক্ষণতে বিপদ, দরিদ্রই বাস্তবিক রাজা, যদিচ প্রকাশ্যে তাছার নাম দরিদ্র। যে দরিদ্রের অন্তরে স্বাৰ্থ পরতার বন্ধন নাই, সে সেই রাজা অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ, , যােছর মনে সন্তোষ নাই। এক জন পণ্য জীবি দরিদ্র জীর্ণ কুটিরে সপরিবারে এরূপ সন্তোষ ও তৃপ্তির সছিত নিশ যাপন করে, যে রাজা রাজ প্রাসদোপরি তদ্রুপ সুখে নিদ্রা ভোগ করিতে পারেন না । রাজাই হউন, বা তম্ভ ব্যবসায়ী দরিদ্রই হউন, নিদ্রায় সকলেরই রাত্রি প্রভাত হয়। যখন দেখ, ধনীর মস্তক অহঙ্কারে ঘুর্ণায়মান। তখন ছে দরিদ্র ! যাও, তুমি ঈশ্বরকেএই বলিয়। ধন্যবাদ কর যে তাছার অনুগ্রহে, তোমার বল নাই যে তোমার হস্ত হইতে কাছার প্রতি অত্যাচার আণসিতে পারে । ৯ । কোন তপস্বী পুৰুষ দেহু পরিমাণ উচ্চ একটা তপসা কুটির নিশ্বীপ