পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ꬃታ পঞ্চম অধ্যায় । করিয়া বাস করিতেছিলেন। তাছা দেখিয়া কেছ উহাকে বলিল “ তুমি এতদপেক্ষ উত্তম গৃহ কেন প্রস্তুত করিলে না ? “ যোগী বুলিলেন “ ਦੋਂ অট্টালিকা নির্মাণ করিয়া কি করিব, আমার দিন যাপনের জন্য এরূপ গৃহই যথেষ্ট । ” প্রিয় দর্শন ! তোতে মুখে গুছ নিৰ্ম্মাণ করিতে যাইও না, তথায় কাহার গৃহ পূর্ণ ও দৃঢ় হইতে পারে না । বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও বিবেচন। সঙ্গত নহে যে পথি মধ্যে বণিকৃ অট্টালিক নিৰ্ম্মাণ করে । ১s | এক নরপালের যখন জীবন স্থৰ্য্য অস্তগামী হুইতেছিল, তখন স্বীয় - বংশে কোন উত্তরাধিকারী ছিল না বলিয়৷ এক জ্ঞান-প্রবীণ গ্রাম্য প্রজাকে রাজ্য সম্পদ প্রদান করেন। সেই গ্রাম প্রান্ত নিবাসী জ্ঞানী পুরুষ যখন ঐশ্বর্ঘ্যের দ্বনি শুনিতে পাইলেন, তখন আর নিভৃত দেশে চুপ করিয়া থাকিতে তাছার প্রৱত্তি হইল না । সিংহাসনে আরোহন করিলেন এবং সমন্তাৎ সৈন্য সংগ্ৰছ করিতে লাগিলেন। তাহ দেখিয়া বীর পুৰুষদিগের মন উৎসাহ-পূর্ণ হুইল । তিনি মহাবাহু সংযোগীন হুইয়। উঠিলেন। রাজ্যের বিদ্রোহী লোকদিগের সঙ্গে সংগ্রামে প্ররক্ত হইলেন। অনেক গুলি বিদ্রোহীকে সমুচিত শিক্ষণ দান করিলেন । কিন্তু একদা এক দল শক্ৰ ঐক্য বন্ধনে সমবেত হইয়া উাহার দুর্গকে দৃঢ় রূপে আক্রমণ করিল। তাছাদের শর বর্ষণ ও প্রস্তর নিক্ষেপে তিনি অবসন্ন হইয়া পড়িলেন । তখন এক জন ঋষির নিকটে লোক পঠাইয়া নিবেদন করিলেন “ নিতান্ত । বিপন্ন হইয়াছি, আশীৰ্ব্বাদ দ্বার সাহায্য করুন, সকলযুদ্ধে অস্ত্র কার্যকর হয় না। ” ঋষি ইছ শ্রবণে হাস্য করির বলিলেন “ অৰ্দ্ধ খণ্ড ৰুটিকায় তৃপ্ত হইয়। গ্রামপ্রান্তে মুখ নিদ্রা ভোগে কেন প্ররত্তি রছিল না। হে ধন দেবতার উপাসক জান না কি যে নিভৃত স্থানে শান্তি ধন থাকে ?” ১১ । যে ব্যক্তি আপনার অবস্থা ও জীবিকাতে ধৈর্য্য ধারণ করে না, সে ঈশ্বরকে জানিতে ও ধৰ্ম্ম সাধন করিতে পারে না। ধৈর্য্য দরিদ্র লোককে ধনবান করে, দ্বারে দ্বারে ভ্রমণকারী লোভীকে এই সংবাদ দান কর ।