পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যান মালা । *○ য়ে নিৰ্ভীক, মুখ, নিৰ্দ্দয়, পাপাচারী ছিল। তাছার তীব্র অত্যাচারে জগতে হাছাকার রব উঠিয়াছিল । অনেকে উৎপীড়ন যন্ত্রণ সহ্য করিতে না পরিয়া দেশত্যাগী হয় ও সৰ্ব্বত্র তাহার অপযশ ঘোষণা করে। যে স্থানে প্রপীড়ন বাহু প্রসারিত হয়, সে স্থানে কাহার মুখে হাস্যের প্রভা দেখিতে পাওয়া যায় ন! | কখন কখন সেই অত্যাচারী রাজ| উক্ত সন্ন্যাসীর নিকটে আসিত । ঈশ্বরপ্রেমিক তাহার প্রতি দৃষ্টিপাতও করিতেন না । একদ। সেই পাষণ্ড "ভূপতি বলিল, “মহুর্ষে ! অসন্তোষ প্রকাশ করিয়া অাম৷ হইতে মুখ ফিরাইও না। জানিও তোমার প্রতি আমার প্রেমানুরাগ আছে। বল, আণমার সঙ্গে তোমার শক্রতা কি জন্য ? আমি এক জন প্রধান রাজ • এরূপ বলি না। কিন্তু পদগৌরবে এক জন সন্ন্যাসী অপেক্ষ নিরুষ্ট নই। আমি আপন গৌরবের কথা কিছু বলিতেছি, এ প্রকার মনে করিও না। তুমি অন্য লোকের সঙ্গে যেরূপ আচরণ কর, আমার সঙ্গেও তদ্রপ কর ইহাই চাহি ।” - সন্ন্যাসী এই কথা শুনিয়া বিষন্ন বদনে বলিলেন “ তোমার এই শরীরহুইতে প্রজাপীড়ন হয়, উছাকে আমি প্রেম করিতে পারি না। তুমি আমার প্রেমাম্পদ বন্ধুদিগের শক্র, তোমাকে বন্ধুর স্থানে কি প্রকারে গণ্য করিব ? যদি এই অবস্থায়ও তোমার সঙ্গে আমার বন্ধত হয়, তাছাতে কিছুই ফল নাই, যেহেতু ঈশ্বর তোমাকে শক্র জানিয়াছেন। আমার পৃষ্ঠচৰ্ম্ম উৎপাটিত হইলেও আমি সেই পরম বন্ধুর শক্রকে বন্ধু বলিব ন। । * ৬ পাশ্চাত্য দেশের এক রাজার বল বিক্রমশীল। ছুই পুত্র ছিল । ভূপতি উভয় রাজকুমারকে বয়ঃপ্রাপ্ত দেখিয়া পরস্পর বিবাদ কলহ না হয়, এজন্য দুই পুত্রকেই তুল্যাংশে রাজ্যের উত্তরাধিকারী রূপে স্থির করেন । ইহার কিছু দিন পরে নরপালের জীবন রজ্জ্ব ছিন্ন হয়, মৃত্যু তাহার কর্তৃত্বের হস্ত বন্ধন করে। পিতৃ নির্দেশ অনুসারে তখল দুই রাজকুমারই রাজ্যাধিপতি হন। রাজ্যের অৰ্দ্ধাংশ এক এক জনের শাসনাধীন হয় । তখন দুই জন পরম্পর