পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিভোপাখ্যাম মাল । *む সমুলে বিনষ্ট হইল তাছা নয়, শক্র সৌন্যের অশ্ব ক্ষুরের আঘাতে তাহার রাজ্যও ছিন্ন ভিন্ন হুইয়া গেল । যে চঞ্চল প্রকৃতি অমিতাচারী,সে কাছার নিকটে সাহায্য চাহিবে ? যখন প্রঞ্জ পলায়ন করিল, তখন কাহ হইতে রাজস্ব অণদণয় করিবে ? যাঙ্গর উপর লোকের অভিসম্পাত, সেই দুৰ্ব্বত্ত পাষণ্ড কি কল্যাণের প্রত্যাশা করিতে পারে ? প্রথম হইতেই সেই দুরাচার হিতৈষী লোকের উপদেশ গ্রাহ্য করে নাই । সহৃদয় লোকে সেই সাধু রাজাকে কি ৰলিয়াছিলেন ? বলিয়াছিলেন “ তুমি ফল ভোগ করিতে থাক, তোমার অত্যচারী "ভ্রাত বঞ্চিত রছিল, তাছার মনের ভাব কলঙ্কিত,শাসনেপায় অতি শিথিল, অত্যাচারই তাছার জীবনের কার্য । ” ৭ । এরূপ শুনা গিয়াছে যে একদা নদীকুলে এক নর কপাল কোন সন্ন্যাসীর সদে এই প্রকার আলাপ করিয়াছিল । “ আমার দুৰ্দ্দান্ত প্রতাপ ছিল, রাজ মুকুটে আমি শোভিত ছিলাম, ভাগ্য অত্যন্ত অনুকুল ছিল, আমি বাহু বলে এরাক রাজ্যের ঐশ্চৰ্য্য সম্পদ গ্রহণ করি, অবশেষে কিমিয়। নযুর অধিকারের উদ্যোগ করিতে স্বয়ং কৃমিকুল দ্বার অধিরুত হই। ” কৰ্ণ কুহর হইতে কাপাস পিণ্ড বাছির কর, শবের নিকটেও অনে উপদেশ শ্রবণ করিতে পরিবে। ৮ । .- একদা এক অত্যাচারী রাজ পুরুষ কূপে নিপতিত হইয়াছিল । তাহার তৎকালীন উচ্চ আৰ্ত্তনাদ ব্যাঘের নিনাদকে পরাজয় করিয়াছিল। অম্বিতাচারী লোক অস্থিত ব্যতীত হিত দেখিতে পায় না। রাজ পুৰুষ কূপে পতিত হইয় আপন অপেক্ষ। নিরাশ্রয় দুৰ্ব্বল আর কাছাকেও বোধ করিল না। সমুদয় রাত্রি চীৎকার করিয়া আকাশ ভেদ করিল, কেহ তাহতে কৰ্ণপাত কলি না। প্রাতঃকালে এক ব্যক্তি আসিয়া"তাছার মস্তকে প্রস্তর নিক্ষেপ করিয়া বলিল “ তুই তোর জীবনে কি কাছার কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়াছিস যে এই ক্ষণ তোর অর্জনদে অন্যে মনোযোগ করিবে ? চিরকাল মন্দবীজ বপন করিয়াছি, দেখ পরিণামে তাছার কেমন অশুভ ফল