পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । و&b ফলিল । কে তোর ক্ষত প্রাণে ঔষধ প্রয়োগ করিবে ? সকলের হৃদয় যে তোর নিষ্ঠুর আঘাতে ক্ৰন্দন করিতেছে। তুই আমাদের গম্য পথে কূপ খনন করিয়া ছিলি, পরিণামে দেখ, তুম্বই কূপে প্রপতিত হইলি ।” সধু ও অসাধু এই দুই জন জগতের লোকের জন্য কি কাৰ্য্য করিয়৷ থাকে ? এক জন শীতল বারিদর্শনে তৃষ্ণগৰ্ত্তের কণ্ঠশ্নিগ্ধ করে, অন্য জন প্রাণে মারিবার জন্য কণ্ঠ চাপিয়া ধরে । যদি পাপ করিয়া থাক, কল্যাণ্যের আশ। করিও না, ঝাউ তৰুতে কখন ফল জন্মে না। তুমি শীত ঋতুতে কুশস্যের বীজ বপন করিয়া বসন্ত কালে গোধুম শস্য সংগ্ৰহ করিবে, ইহ। কখন হইবে না। তুমি অনিষ্টকর কণ্টক তৰু রোপণ করিয়া মনে করিও না ফে= কখন তাহাতে ইষ্ট ফল ভোগ করিৰে। খরজছর ( বিষকণ্টক ) নামক নিষ্ফল বিষ তৰু হুইতে স্থরস খোর্ম ফল লাভ করিতে পারিবে না। যে প্রকার বীজ বপন করিয়াছ, সে রূপই ফলের অাশা রাখিও । ৯ । একদ কোন ধৰ্ম্মাত্মা পুৰুষ প্রসিদ্ধ প্রজা পীড়ক রাজা হোজ্জাজের প্রতি রাজেচিত সম্মান প্রদর্শনে ক্রট করিয়া ছিলেন। তজ্জন্য হোজ্জাজ ভঁাহার শিরশেছদের তাজা প্রদান করে । - দুৰ্ব্বত্ত লোকে কোন প্রমাণ ও কারণ অনুসন্ধান না করিয়াই সহজে অত্যাচারের পথ অনুসরণ করিয়া থাকে। প্রাণ দণ্ডের আজ্ঞ শ্রবণ করিয়া সেই ধাৰ্ম্মিক পুৰুষ মুখে বিষাদ ও প্রফুল্ল ভাব দুইই প্রকাশ করিলেন । এতদর্শনে নিষ্ঠুর রাজা বিস্মিত হুইল ও জিজ্ঞাসা করিল, “ বল, তোমার মুখ মণ্ডলে যুগপৎ রোদনের চিত্ন ও হর্যের লক্ষণ দেখিতে পাইলাম, ইহার কারণ কি ? বিষাদ অন্ধকারের মধ্যে হাস্যজ্যোতির কোন রূপ সম্বন্ধ দেখ যায় না। ’ তিনি বলিলেন “ রোদন করিলাম এজন্য, যে আমার চারিট উপায়হীন শিশু সস্তান আছে, আমার মৃত্যুর পর তাহদের কি গতি হুইবে তাছ ভাবিয়া, আহলাদ এজন্য হইয়াছিল যে ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমি অত্যাচারিত হুইয়া শ্মশান মৃত্তিকার মিন্নে প্রবেশ করিতেছি, অত্যাচারী হইয়া নয়। ” তখন এক জন হোজ্জাজকে নিবেদন করিল “ হে প্রতাপান্বিত নরপাল !