পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N প্রথম অধ্যায় ' এক জন প্রজাপীড়ক রাজা কোন তপস্বীকে জিজ্ঞাস করিয়াছিলেন যে, “যত প্রকার তপস্যা আছে তন্মধ্যে কোম্প্রকার সৰ্ব্বোত্তম ?” তপস্বী বলিয়াছিলেন “ যে দিবাৰ্দ্ধভাগ নিদ্রীয় যাপন করাই তোমার পক্ষে উৎকৃষ্ট তপস্যা । তাহীতে এতাবৎকাল প্রজাপীড়ন হুইবে না।” ৬ কোন অত্যাচারী রাজপুরুষ দরিদ্রগণ হইতে স্বল্প মূল্যে কাষ্ঠ ভার বলপূৰ্ব্বক গ্রহণ করিয়া ধনীদিগের নিকট উচিত মূল্যে বিক্রয় করিত। একদা তাহীর অত্যাচার দেখিয়া এক জন ধাৰ্ম্মিক ভৎসনা করিয়া বলিলেন যে “ তুমি কি বিষধর যে যাহাকে সম্মুখে উপস্থিত দেখ, দংশন কর ? দুৰ্ব্বল মনুষ্যের প্রতিই তুমি বল করিতে পারিবে, কিন্তু সৰ্ব্বান্তৰ্য্যামী প্ৰভু পরমেশ্বরের সহিত তোমার পরীক্রম খাটিবে না । মনুষ্য সন্তানের প্রভি অত্যাচার করিও না, তাছা করিলে তোমার প্রার্থনা ঈশ্বর গ্রহণ করিবেন না ? g এই উপদেশ শুনিয়া রাজ পুৰুষ বিরক্ত হইল ও উহার প্রতি ক্ৰোধ । প্রকাশ করিয়া তথা হইতে চলিয়া গেল । অতঃপর একদা রাত্রিতে ঐ দুৰ্ব্বত্তের রন্ধনশালার অগ্নি কাষ্ঠপুঞ্জে পতিত হইয়া ভয়ানকরপে জ্বলিয়া উঠিল এবং তৎসহযোগে তাছার গৃহ সম্পত্তি সমুদায় 'ভস্মীভূত হইয়। গেল। তখন মহামূল্য লুকোমল শয্যর পরিবর্তে উষ্ণ অঙ্গর শয্যাই তাহার আসন হইল। দৈবাৎ সেই ধৰ্ম্মিকবর তখন তাছার আলয়ে উপস্থিত হইলেন, শুনিলেন সে তাপন বন্ধুবর্গের সহিত এরূপ অলপ করিতেছে “ জানি ন। যে এই অগ্নি হঠাৎ কোথ। ছইতে আমার গৃহুে পতিত হইল।” তখন ঐ ধৰ্ম্মাত্মা বলিলেন “ প্রপীড়িত দরিদ্রগণের দুঃখায়িদহুমান হৃদয় হইতে—” অত্যাচারিম্ ! অত্যাচার ভগ্ন অন্তরের দীর্ঘ নিশ্বাসের আঘাত সহ্য কর । ভগ্নহৃদয় পরিণামে বল প্রকাশ করে। সাধ্যানুসারে কাছার মনে ব্যথা দিও না, ব্যথিত ব্যক্তির একটা শোক জনিত নিশ্বাস সমুদার জগৎকে দুর্দশ পন্ন করিতে পারে । ৭। ७क ऊन রাজানুচর প্রজাপীড়ন করিয়া রাজস্ব আদায় করিত।