পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যান মাল । &5 দেখি, তাদৃশ আচরণের মধ্যে কি প্রকার শুভ উদ্দেশ্য রহিয়াছে, আমাকে প্রকাশ করিয়া বল ; আমার এই প্রতীতি যে তোমার বুদ্ধির লেশ নাই, তুমি এক জন সুর মত্ত অথবা ক্ষিপ্ত । যুব সহাস্য মুখে বলিল “ হে, নিৰ্ব্বোধ ! তোমার অধিক কথায় প্রয়োজন নাই। মহাত্ম৷ খজরের বৃত্তান্ত কি তুমি অবগত নও ? তিনি কেন নৌকা ভয় করিয়াছিলেন ? তাহকেত কেহ ক্ষিপ্ত বা মত্ত বলে নাই।” নর পতি বলিলেন “ রে পণ্যও যুবা ! তুইকি জানিস্ যে কি উদ্দেশ্যে “খজর তদ্রুপ করিয়াছেন? সাগর দ্বিপে এক দুরন্ত দস্থ্যপতি বাস করিত, তুগছর ১অত্যাচারে পোতবাহীগণ চিন্তার সাগরে নিমগ্ন ছিল। সমগ্র দ্বিপ উপায় ইনদিগের আর্তনাদে পূর্ণ থাকিত। তাছার নিষ্ঠুর আক্রমণে নদী বেগের ন্যায় মনুষ্য হৃদয়ে শোক বেগ উত্থিত হইত। সেই দস্থ্যদল পতি আক্রমণ করিতে না পারে, এই মহছুদ্দেশ্যে খজর নৌকা ভাঙ্গিয় ফেলেন। কোন দ্রব্য উত্তম অবস্থায় শক্রর হস্তগত হইয়া বিনাশ প্রাপ্ত হওয়া অপেক্ষ ভগ্ন অবস্থায় তোমার নিজের হুস্তে থাক। ভাল ।” যুৰ হাস্য করিয়৷ বলিল “ মহাশয় । এই যুক্তি অনুসারেই গর্দভকে প্রস্থার করার আমার অধিকার আছে। আমি মূখত বশতঃ গর্দভের প। ভাঙ্গিতেছি না। অবিচারক রাজার অত্যাচারে তাহা করিতেছি, দুষ্ট রাজার হস্তে পতিত হইয়া ক্লেশ ভোগে প্রাণত্যাগ করা অপেক্ষ এস্থানে গর্দভ খঞ্জ হইয়া কষ্টে জীবন ধারণ করে সেই ভাল। যে দম্য নৌক৷ _আক্রমণ করিত, তাহার যে মহা অধোগতি হইয়াছে, ইহা কি তুমি অস্বীকার করিতে পার ? প্রকৃত পক্ষে অত্যাচারী নিজের উপর অত্যাচার করে, দুঃখী দুৰ্ব্বলের প্রতি নয়। পরলোকে ঈশ্বরের বিচার সভাতে অত্যাচরিত দুঃখী জন অত্যাচারীর গ্রীব ও শ্মশ্র আক্রমণ করিয়া থাকে, দুঃখের ভার তাহার স্বন্ধে অপণ করে। তখন অত্যাচারীর নিজের মস্তক আপন স্কন্ধে ভার বহু হইয় উঠে। সত্য বটে, এই ক্ষণ গৰ্দ্দভ অত্যাচারীর ভার বহন করে, কিন্তু ছায়। পরে সেই দুৰ্ব্বত্ত, গৰ্দ্দভের ভার বহন করিবে। হতভাগ্য কে ? যদি ইছার বিচার কর, জানিবে যে অন্যকে দুঃখ দান করিয়া সুখী হয়, সেই ব্যক্তি । সম্পদের কয়েক দিন মাত্র তাহার লোকের দুঃখেতে সুখ