পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ং সপ্তম অধ্যায় । বোধ । যাহার নিদ্রণকালে মাত্র লোকে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম লাভ করে, সেই হৃদয় বিহীন দুরাত্মার নিদ্রা ভঙ্গ না হওয়াই শ্রেয়ঃ ” * o রাজ। এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া কিছুই বলিলেন না। বৃক্ষ শাখায় অশ্ব বন্ধন পূর্বক অশ্বের পৃষ্ঠ শয্যাকে মস্তকের অবলম্বন করিয়া শয়ন করিয়৷ রছিলেন, নিদ্রা হইল না, বারম্বার ক্লষাণ যুবার কথা ভাবিলেন ও সমুদয় রাত্রি জগরিত থাকিয়া কেবল নক্ষত্র গণনা করিলেন। চিন্তা ও উৎকণ্ঠ উপহার চক্ষুর বিশ্রামের বিঘ্ন হইল । যখন বিহঙ্গমের প্রভাতিক স্বনি কর্ণ বিবরে প্রবেশ করিল, তখন র্তাহার রজনীর কষ্ট কিঞ্চিৎ চলিয়া গেল। এ দিকে অনুগামী অশ্বারোহীগণ সমুদায় যামনী ইতস্ততঃ রাজাকে অন্বেষণ করিয়া প্রতৃযেতদীয় তুরঙ্গমের পদাঙ্কানুসরণ ক্রমে সেই গ্রাম প্রান্তে উপস্থিত হইল। তথায় দূর হইতে সকলে’মছারীজকে অশ্বোপরি দেখিতে পাইল, দর্শনমাত্র সমুদায় সৈন্য সামন্ত পদব্রজে তাহার নিকটে দৌড়িয়। আসিয়া প্ৰণিপাত করিল। সেন। শ্রেণীতে সেই ভূভাগ তরঙ্গাকুল সমুদ্রবৎ দেখাইতে লাগিল । রাজাকে অবেস্টন করিয়া পরিষদগণ উপবেশন করিলেন । ভোজনের আয়োজন DDDD S BBS BBS BBBS BBB BBB BBB BBBB S BBBB প্রমোদে রাজা মত্ত হইয়া উঠিলেন, তখন গত রাজনীর ব, : ও ক্লষক যুব উছার স্মৃতিপথারূঢ় হইল। এক অনুজীবীকে তিনি আদেশ করিলেন যে সত্বর কৃষককে বধিয়া আনয়ন কর । আজ্ঞ প্রতিপালত হইল । ক্লীবল যুব দৃঢ়রুপে বন্ধী হইয়া রাজ সন্নিধানে আগমন করিল। হুরাত্ম। ঘাতক নিস্কোৰিত তীক্ষ করবাল হস্তে ধারণ করিয়া উপস্থিত, উপায় হীন যুবার আর পলায়নের পথ নাই, সে সেই মুহূৰ্ত্তকে জীবনের শেষকাল জানিয়া যাছ। তাছার মনে উদয় হইল, বলিতে লাগিল । যখন নির্দোষ মস্তকোপরি অসি উত্তোলিত হয়, তখন জিহব দুর্জয় বেগ ধারণ করে। যখন কেহ জানে যে শত্রর আক্রমণ হইতে আর পলায়নের পথ নাই, তখন হুস্তে যাহা প্রাপ্ত হয়, সে নিৰ্ভয়ে শক্রর মস্তকে নিক্ষেপ করিয়া থাকে। জীবনে নিরাশ হইয়া যুবা মহা, সাহসে বলিতে লাগিল “ অনিৰ্ব্বাৰ্য্য মৃত্যুকে আমি ভয় করি না। আমি সাহসের সহিত বলিতেছি, তোমার