পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:yg সপ্তম অধ্যায় । ছিল । তাহার আধিপত্য সময়ে সাধারণের সম্বন্ধে দিবীভাগ রজনী ছিল । তাছার ভয়ে রজনীতে কাছার নিদ্রা ছিল না। নির্দোষী প্রজাগণ দিনে ভদ্বারা বিপদগ্ৰস্ত, নিশায় সকলে করপুটে ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থী ছিল। একদা কয়েক জন প্রপীড়িত লোক এক মহা জ্ঞানী ঈশ্বর পরায়ণ ঋষির নিকট ক্ৰন্দন করিতে ২ নিবেদন করিল “ আর্য্য ! ঈশ্বরকে ভয় করিবার জন্য এই যুবা ভূপতিকে অনুরোধ কৰুম্। ” মহর্ষি বলিলেন “প্রিয়তম পরমেশ্বরের পুণ্য নাম যে সে লোকের নিকটে বলিতে আমার কষ্ট হয়। সকল ব্যক্তি ঈশ্বরের তত্ত্ব শ্রবণের উপযুক্ত নয়। যে সকল লোক ঈশ্বর বিদ্রোহী, তাহদের নিকটে ধর্মের উচ্চ কথা বলিও না। ধাৰ্ম্মিক, জনের নিকটে ই তাহ বল। যাইতে পারে। মুখের নিকটে উচ্চ জ্ঞানের তত্ত্ব বলিব না, উষর ভূমিতে নিক্ষেপ করিয়া উত্তম ৰীজের অপচয় করিব না। উচ্চ উপদেশ সেই দুরাচার রাজার হৃদয়কে আশ্রয় করিবে না, বরং প্রাণের সহিত অসন্তুষ্ট হইবে এবং আমার অসন্তোষ উৎপাদন করিৱে । কোমল মধুথের মধ্যে মুদ্র অঙ্কিত হয়, কঠিন প্রস্তরে নয়। আমার প্রতি হৃদয়ের সহিত দুৰ্ব্বত্তের বিরক্তি হওয়া কিছুই আশ্চৰ্য নহে, যেহেতু সে দস্য স্বরূপ, আমি প্রহরী । * ১৬ এক জন ধাৰ্ম্মিক তপোধন ছইতে কোন প্রতাপাম্বিত রাজা মনঃপীড়। পাইয় ছিলেন। তপস্বীর মুখে একটা তিরস্কার বাণী উচ্চারিত হইয়াছিল। অভিমানী ভূপাল তাহাতেই মহা বিরক্ত হন, এবং সেই সাধু পুৰুষকুে কারাগারে বদ্ধ করেন। তখন কোন বন্ধু যাইয় গোপনে অপোধনকে এই বলিল “মহারাজকে এরূপ কথা বলা তোমার উচিত হয় নাই।” ঋষি বলিলেন “সত্যবাণী প্রচার করা তপস্যার অঙ্গ, এক মুহূৰ্ত্তও আমি কারাগারকে ভয় করি না ।” গোপনে এই কথা হইয়াছিল, কিন্তু তখনই কোন সুযোগে রাজ। তাছা শ্রবণ করিতে পাইলেন । তিনি হাস্য করিয়া বলিলেন “ এ তাহার রথ কল্পনা । সে কি জানে না যে কারাগারে তাহার মৃত্যু হইবে ?” এক জন রাজকিঙ্কর যাইয়া ঋষিবরকে, রাজার এই উক্তি জ্ঞাপন করিল। তাহাতে তিনি বলিলেন “ নরপতিকে যাইয়া বল, এই পার্থিব জীবন