পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিভোপাখ্যান মালা । :Ջն মুহূৰ্ত্তকাল বৈ নয়, সংসার বিরাগীর নিকটে শোক হর্ষ কিছুই নাই। রাজা যদি অনুকুল হন, আমার চিত্ত হর্ষ বিদ্ধারিত হইবে না, যদি শিরদেশছন করেন শোকাৰ্ত্ত হুইবে না । তাছার প্রভুশক্তি, সৈন্য ও ঐশ্বৰ্য আছে, আমার পরিজন বর্গ ক্লেশ ও দুৰ্গতি আছে। অচিরেই মৃত্যুর দ্বারে সেই ভাগ্যবান্‌ রাজা এবং আমি অভাগা তুল্য দশাপন্ন হইব। তাহাকে বল ঐশ্বৰ্য্যমদে প্রমত্ত হইও না, আপনাকে পাপাগ্নিতে দগ্ধ করিও না। পূৰ্ব্বকালে অনেক রাজা অত্যাচারানলে পৃথিবীকে দগ্ধ করিয়া তোম। অপেক্ষ অধিক ঐশ্বৰ্যসম্পন্ন হইয়াছিলেন, তাছাদের চিকুও নাই। তুমি সেইরূপ জীবন ধারণ, কর, যাহাতে লোকে তোমার চরিত্রের প্রশংসা করে, মৃত্যুর পর তোমার সমাধির উপর তিরস্কার না করে । অন্যায় বিধিকে প্রশ্রয় দিও না, তাছ হইলে লোকে “ এই দুরাত্মাকে ধিকৃ” এইরূপ বলিবে । ভণবিয়া দেখ, বলবান অভিমানে মস্তকোত্তোলন করিলে কি পরিণামে সেই মস্তক শ্মসানভূমিতে নত করে মা ?” রাজা এভৎ শ্রবণে রাগগন্ধ হইয়া তপোধনের জিহবা উৎপাটনের অণদেশ করিলেন। তাছাতে সেই সত্যব্রত সাহসী পুৰুষ বলিলেন “ তুমি যে আজ্ঞা করিলে তাহাকেও আমি ভয় করি না, রসন বিহীন হুইয়। থাকিতে আমার দুঃখ নাই। যেহেতু আমি বিশ্বাস করি যে জিহাযোগে কথা না বলিলেও প্রভু পরমেশ্বর অন্তরের গুপ্ত বাণী সকল শ্রবণ করেন। ” হে বন্ধে। যদি সত্যেতে পুণ্যেতে তুমি জীবিত থাক, ইহলোক হইতে -fরদায়ের দিন শোক বিলাপ স্থানে তোমার আনন্দ উৎসব হইবে । ১৭ 息 মৃত্যু কালে নরপাল নওসেরওঁয় আপন পুত্র হরমুজকে এই বলিয়া উপদেশ দান করেন । * দীনহীন প্রজার হৃদয় প্রসন্ন রাখিবে, আত্মমুখে মত্ত থাকিও না। যদি তুমি শুদ্ধ আপন মুখে রত থাক, তাহ। হইলে কেছ তোমার রাজ্যে সুখী হুইবে না । ক্লভী লোকের দৃষ্টিতে ইছ। ভাল দেখায় না, যে রক্ষক নিদ্রিত এবং ছাগ পশু ব্যপত্র দ্বারা আক্রান্ত । ঘাও, দীন হীন প্রার্থীর মনোরথ পূর্ণ কর, প্রজ হইতেই রাজার রাজত্ব ; প্রজা মূল স্বরূপ এবং রাজা ৱক্ষ স্বরূপ। বৎস! মূল যোগেই রক্ষের