পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৩ সপ্তম অধ্যায় । দৃঢ়ত । কোন রূপে প্রজার মনে দুঃখ দিও না, যদি তাহ কর, আপন মূল উৎপাটন করিবে। যদি তুমি সরল পথে যাইতে ইচ্ছা কর, ধৰ্ম্ম পরায়ণ ঋষিদিগের আশাও ভয়ের পথ ( পূণ্যে অণশ পাপতেভয় ) বিদ্যমান। কে অত্যাচার ভাল বাসে না ? যে আপন রাজ্যের ক্ষতি দেখিতে চাছে না। যাহার স্বভাবতঃ পুণ্যেতে আশা, পাপের প্রতি ভয় নাই, তদূর দেশের শান্তি রক্ষণ হয় না। যদি রাজ্য সম্পদের প্রভু হও, তবে তাছাকে যত্নের সহিত রক্ষণ কর । যদি তাহ না থাকে, একাকী নিঃসম্বল বট, তাছ। হইলে, নিজের মস্তক নিৰ্ব্বিঘ্নে রাখ। সে দেশে শান্তির আশা করিও না, যে দেশে রাজা হইতে, প্রজা অসন্তুষ্ট । অহঙ্কারী বীর পুৰুষকে ভয়করিও, যে ব্রহ্মাণ্ডপতি ঈশ্বরকে ভয় করে না, তাহ হইতেও ভীত হইও । যে রাজা প্রজার মন বিরক্ত করিয়াছেন, তিনি আর কখন দেশের স্ত্ররদ্ধি সাধন করিতে পরিবেন না । অত্যাচার হইতে অপযশঃ ও অকল্যাণ হয়, জ্ঞানী লোকেরাই ইহা বুঝিতে পারেন। আবার বলি, অবিচারে প্রজাকে বধ করিও না, প্রজাই রাজত্বের আশ্রয় ও বল। কৃষি জীবী হইতে উপকার পাইয়া থাক, তাহার কৃষি কার্য্যে শস্য উৎপাদন করিয়া রাজস্ব প্রদান করে, তুমিও উপকার করিয়া তাছাদের মন রক্ষা কর । যাহা হইতে উপকার হয়, তাছার অপকার করা মনুষ্যত্ব নহে। ” ১৮ o, নরপতি খোস্রও মৃত্যু কালে স্বীয় পুত্র সিরওয়াকে এই উপদেশ দান করেন। “ বৎস! দৃঢ় সঙ্কল্প থাকিও ; প্রজার কল্যাণের প্রতি দৃষ্ট্রি রাখিও ; তুমি বিবেক্‌ বুদ্ধির অবাধ্য হইও না। প্রজা অবিচারক রাজার নিকট হইতে পলায়ন করে, এবং জগতে তাছার অপযশ ঘোষণা করে। যে রাজার রাজ্য শাসনের মূলে দোষ, অবিলম্বে সে সমূলে বিনাশ প্রাপ্ত ছয় । অনাথ অনাথার এক দীর্ঘ নিশ্বাসে অমিত পরাক্রম বীর পুৰুষ দিগের মছ। অকল্যাণ ছয় । এক জন অনাথ নারীর অভিসম্পাতের অগ্নিতে অনেক নগর দগ্ধ হুইতে দেখা গিয়াছে র্যাছার রাজ্যে সুবিচারে অনাথ মুখে আছে, জগতে র্তাহ অপেক্ষ ভাগ্যবান্ রাজা কে ? সে রাজা যখন ইছলোক হইতে প্রস্থান করিবেন, তখন অনাথার আশীৰ্ব্বাদ