পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo প্রথম অধ য় । নরপাল হাৰুনল্রসিদের এক পুত্র উহার নিকটে আসিয় নিবেদন করিয়াছিল “পিতঃ! অমুক দাস পুত্র আমাকে গালি দিয়াছে, তাছার শাস্তি হয় এই প্রার্থনা ” ছাৰুনলরসিদ সচিববর্গকে দণ্ডবিধি জিজ্ঞাসা করিলেন। তাছাদের একজন অপরাধীর শিরশেছদন, অপর এক ব্যক্তি জিহবা উৎপাটন, অন্য এক জন নিৰ্ব্বাসনের ব্যবস্থা প্রদান করিলেন । তখন রাজা পুত্ৰকে বলিলেন “ বৎস! তুমি ইহাকে ক্ষম। কর, তোমার মহত্ত্ব রক্ষা পাইলে । যদি একান্তই ক্ষমা করিতে অসমর্থ হও, তুমিও তাছাকে গালি দাও । দাস পুত্ররে প্রতি তোমার ক্ষমতার সম্পূর্ণ পরিচয় দেওয়া উচিত নহে । তাছাতে অত্যাচার প্রকাশ পাইবে।” যে ব্যক্তি মত্ত মাতঙ্গের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়, বুদ্ধিমান লোকের। কখন তাছাকে বলবান বলিয়। প্রশংসা করেন না । তিনিই যথার্থ বলশালী, যিনি ক্রোধের বশ নছেন ও ক্ষমা করিতে পারেন । ১০ । f কোন রাজার সঙ্কট রোগ ছিল । ইয়ুনান দেশীয় চিকিৎসকগণের মতে বিশেষ লক্ষণক্রান্ত মনুষ্যের যকৃৎ সেবন ভিন্ন রোগ প্রতীকারক অন্য কোন ঔষধ ব্যবস্থা ছইল না। অনুসন্ধানে কোন গ্রামে তক্রপ লক্ষণযুক্ত একটা বালক প্রাপ্ত হওয়া গেল। রাজ বালকের পিতা মাতাকে ডাকাইয় প্রচুর অর্থ দানে সন্মত করিলেন। ব্যবস্থাপকও বিধি দিলেন যে প্রজাকুলপতির আরোগ্যের নিমিত্ত একজন প্রজার প্রাণসংহারে পাপ নাই । ঘাতক শিরশেছদনে উদ্যত হইলে, বালক প্রশান্তভাবে 'অকণশের প্রতি দৃষ্টি করিল। ইছ দেখিয়া রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন “রে উপায়হীন শিশো ! এ সময় তোর এ রূপ ভাব অবলম্বনের কারণ কি ?” বালক নিবেদন করিল “নরনাথ ! পিতা মাতার প্রতি সন্তানের অাবদর ; ব্যবস্থাপকের নিকটে অপত্তির মীমাংস ; রাজার নিকটে বিচার। পিতা মাতা ধনলোভে আমার মৃত্যুতে সম্মতি প্রদান করিয়াছেন ; ব্যবস্থাপকও জীবনসংছারে বিধি দিয়াছেন ; বিচারপতি স্বীয় স্বাস্থ্যের জন্য এই হতভাগ্যের মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা করিয়াছেন । এ সময় জগদীশ্বর ব্যতীত