পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২১২

হিতোপাখ্যান মীলা । ツツめ ক্ষতি শিক্ষক তাছাকে এই উপদেশ দিলেন “ যদি চাও যে ঢোলকের ন্যায় মুখে আঘাত না হয়, হে ভ্রাতঃ ! তাহা হইলে সারঙ্গ যন্ত্রের ন্যায় মস্তক মত করিয়া থাক ।” ২ কোন ব্যক্তি অত্যন্ত আত্মশ্লাঘা করিয়াছিল। কেহ তাছাকে ভৎসন। করিয়া—পরিচ্ছদ ছিন্ন করিয়া অৰ্দ্ধচন্দ্র দানে দূর করিয়া দিলেন । সে হতভাগ্য অপমানিত হুইয়। এক পাশ্বে বসিয়া রোদন করিতে লাগিল । তখন কোন বহুদশী বিচক্ষণ লোক আসিয়া বলিলেন “ হে আত্মাভিমানিন! য়ুদি কলিকার ন্যায় তোমার মুখ বন্ধ থাকিত, তবে প্রফুল্ল পুষ্পের ন্যায় “তোমার গাত্রাবরণ অদ্য কেছ ছিন্ন দেখিত না ।” অসার লোকের শূন্যগর্ভ তানপুর যন্ত্রের ন্যায়, কেবল' ভেউ ভেউ শব্দ করিয়া থাকে। একটী বিনম্র বাণীতে লোকের ঔদ্ধত্য চলিয়া যায়, দেখ না কি যে গওয পরিমিত বারিতে অগ্নিশিখা উপশান্ত হয় ? গুণবান ব্যক্তি স্বীয় গুণ কখন বর্ণন করেন না। যদি বিশুদ্ধ কস্তরিকা থাকে তুমি শেন ভাবে থাক ; সেই কন্তু রিকাই আপন সৌরভে লোকের নিকটে পরিচিত হুইবে । ইছ প্রক্লষ্ট স্বর্ণ, পূৰ্ব্বে তোমার এই কথা বলিবার প্রয়োজন কি ? পরীক্ষা-শিলাই বলিয়া দিবে ভাল কি মন্দ । ৩ একদা এক শিষ্য মহর্ষি দাউদের নিকটে আগমন করিয়া বলিয়াছেন "যে অমুক সুফী (এক প্রকার বৈরাগ্যাশ্রিত ) মুর বিহবল হইয়া শুণ্ডিকালয়ে নিপতিত। তাছার উত্নীষ ও অঙ্গত্রাণ উদ্বমিত অন্ন পুঞ্জে পরিলিপ্ত। একদল কুকুর তাহকে ঘেরিয়া রহিয়াছে। মহাত্মা দাউদ এই দুঃসংবাদ শ্রবণ করিয়া শিষ্যের প্রতি বিষন্ন ভাবে দৃষ্টিপাত করিলেন। কিয়ৎক্ষণ চিন্তা ও দুঃখে অস্থির থাকিয়া বলিলেন “ প্রিয় ! অদ্যই বন্ধুতা কার্য্যে পরিণত হইবার দিন, যাও, শুণ্ডিকালয় হইতে তাছাকে নিয়া অভ্যাস । মদিরা পান, সুর বিপণিতে গমন ঘূৰ্ম্মশাস্ত্র বিৰুদ্ধ । ইহা বৈরাগ্যাবলম্বীদিগের সম্বন্ধে অতি গৰ্ছিত ও লজ্জাকর ব্যাপার। সে সুরাপান করিয়৷