পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fহতোপণখ্যান মালা । কোন রমণীর রমণীয় বদন মণ্ডল দর্শন করিয়া এক ব্যক্তির শরীর রোমাঞ্চিত ও কপোল যুগল অশ্রজলে অভিষিক্ত হয়। এই সময়ে মহাপণ্ডিত বকৃরণত তাছার নিকটে উপস্থিত হইলেন, তিনি দেখিয়াই জিজ্ঞাস। করিলেন যে এ লোকটর কি হইয়াছে ? কেহ বলিল “ ইনি এক জন ধৰ্ম্মসাধক ঋষি, কখন কেছ ভঁহাকে পাপাচারী দেখে নাই, দিবা রজনী ইনি সংসারে নির্লিপ্ত ও অনাসক্ত এবং ইশ্বর-ধ্যান মননে নিমগ্ন ছিলেন । অদ্য এক মনোমোহিনী ইহঁর মন হরণ করিল। এই মহাত্মার দৃষ্টিরূপ চরণ অ্যজ গভীর কৰ্দমে বদ্ধ হইল * r} • ঋষি ইছ শুনিয়া বলিলেন “ আমাকে এরূপ অনুযোগ করিও না, ইছ। বলিও না যে আমার এই ভাবান্তরের কোন নিগূঢ় উচ্চ কারণ নাই। রমণী মুখের সৌন্দৰ্য আমার মন বিকৃত করে নাই। যিনি এই সৌন্দর্ঘ্যের রচনা করিয়াছেন, সেই মহাশিল্পী প্রকাশিত হুইয়। আমার মন প্রাণ কাড়িয়া লইয়াছেন।” তাছার ভাবেই চক্ষু অশ্রুপূর্ণ ও হৃদয় পুলকিত হইয়াছে । ১৪ মিশর দেশে আমার এক লজ্জাশীল নিরীহ ভূত্য ছিল । কেহ বলিল “এ দাসের বুদ্ধি চতুরতা কিছুই নাই, ইহার কাণ মলিয়া দেও, তবে শিক্ষণ হইবে।” সে দিন রাত্রিতে কোন কারণে আমি ভৃত্যকে ধমক দিয়াছিলাম, তাছাতে সেই উপদেষ্টাই আবার বলিলেন “হায়! সাদি নিষ্ঠুরাচারে উপায় হীন নিরীহ দাসটকে বধ করিল।” যদি তুমি ক্রোধে উত্তেজিত হও, লোকে তোমাকে দুষ্টমতি ক্ষিপ্ত বলিবে। যদি গম্ভীর প্রকৃতি সহিষ্ণু হও, অবিমূষ্যকায়ী বলিবে । দানশীল হইলে উপদেশ দিবে তুমি ভাল করিতেছ না, কল্যই রিক্তহস্ত দরিদ্র হইয়া পড়িবে। যদি ব্যয়কুণ্ঠ হও, লোকের কটুক্তিভাজন হইবে ; বলিবে পিতার ন্যায় এই নীচাশয়ও ধনসম্পত্তি রাখিয়া মৃত্যু শয্যায় বিলাপ করিবে । কোন রূপে নিরাপদ নাই। প্রেরিত মহাপুৰুষগণও শক্রর কটুক্তি হইতে রক্ষণ পান নাই। যখন মনুষ্য জিহবার আক্রমণ হইতে কাছার নিস্তার নাই, তখন একল উপেক্ষ করাই একমাত্র ঔষধ د لا »