পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^y অষ্টম অধ্যায় । কোন যুব মুবুদ্ধি বিদ্বান উপদেশ পটু ও সৎসাহসী ছিলেন এবং তত্ত্ববিদ্যা ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রে তাছার অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ছিল ও অন্য২ নানা তিনি বিভূষিত ছিলেন । কিন্তু উপহার বর্ণেচ্চারণ শুদ্ধি ছিলনা। ইহা দেখিয়। কোন এক জন ঋষিকে আমি বলিয়াছিলাম যে অমুক যুবক সম্মুখের দন্ত রাখেন না। তিনি এই কথায় অসন্তুষ্ট ও বিরক্ত হইলেন এবং বলিলেন এরূপ নিরর্থক বাক্য আর কখন কহিও না । তুমি ভঁাছার মধ্যে কেবল এই দোষটা দেখিলে, র্তাহার যে কত সদগুণ আছে তাছার প্রতি আর তোমুর দৃষ্টি পড়িল না। " এই সত্যটা শ্রবণ কর যে বিচারের দিন কল্যাণদশী লোকের শাস্তি হয় না। যদি কোন ব্যক্তির বিদ্যা বুদ্ধি সদ্বিবেচনা থাকে, তাহা হইতে যদি অন্যায়হয়, একটা দোষ দেখিয় তাহাকে আক্রমণ করিও না। জ্ঞানী লোকের কি বলিয়াছেন ? * অশুভ পরিত্যাগ করিয়া শুভ গ্রহণ কর " এই কথাটী বলিয়াছেন। ভদ্র । পুষ্প ও কণ্টক এক স্থানে স্থিতি করে, তুমি কণ্টন্ধের প্রতি দটি না করিয়া পুষ্প গ্রহণ কর । মলিন হৃদয় লোকেই কেবল ময়রের কুৎসিৎ পদদ্বয়কেই দেখিতে পায়, সেই পক্ষীর সর্বাঙ্গের অনুপম কান্তি তাছার মনে লাগে না । নিৰ্ম্মল ভাব ধারণ কর, যেহেতু মলিন দর্পণেতে বস্তুর সৌন্দর্য প্রতিবিম্বিত হয়না। হে ক্ষুদ্রাশয়! তুমি অন্যের দোষ দর্শন করিয়া বেড়াইও না, তাছা হইলে নিজের দোষ তোমার চক্ষে পড়িবে না। আপনার জীবন কলঙ্ক-মুক্ত ন হইলে, আমি অন্য দোষীকে কি প্রকারে শিক্ষণ দান করিতে পারি। যদি তোমার জীবনে বিপরীত . ভাব প্রকাশ পায়, তাছা হইলে কাহার প্রতি শাসন দণ্ড প্রয়োগে তোমার অধিকার নাই। যদি অন্যায় তোমার ভাল না লাগে নিজে করিও না, পরে প্রতিবেশীকে বলিও, করিও না। আমি ভাল বা মন্দ, তুমি নিঃশব্দে থাক, আমার শুভাশুভের জন্য আমি দায়ী বটি, তুমি নও, আমি সচ্চরিত্র কি কুচরিত্র তোমা অপেক্ষ ঈশ্বর আমার তত্ত্ব অধিক জানেন । তোমার নিকটে আমি সাধুতার পুরস্কারের প্রত্যাশা রাখি না, অসাধুতার জন্য তুমি কেন আমাৰে বাক্য যন্ত্রণায় জ্বালাতন করিবে ? ঈশ্বর সদাশয় সদনুষ্ঠানকারীর একটা সদগুণের দশ গুণ পুরস্কার প্রদান করেন। তুমিও যদি