পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়। অনুশোচন । যৌবন কালে একদা রজনীতে কতিপয় বয়স্যের সঙ্গে যৌবন সুলভ আহলাদ অামোদে রত ছিলাম । কল-কণ্ঠ বিহুঙ্গের ন্যায় দার্থকগণের সঙ্গীত হইতে ছিল । পুষ্পের ন্যায় আমাদের আনন হাস্য করিতে ছিল । আমাদিগের আনন্দ মত্ততার কোলাহল পল্লীকে কম্পিত করিয় ভুলিয়াছিল। সেই সময়ে এক বৃদ্ধ পুৰুষ নিকটে উপস্থিত থাকিয়াও এই হর্ষ ব্যাপারে লিপ্ত হইলেন না। সেই বর্ষীয়ানের মস্তকের কেশে তামসী মিশর ভাব কিছুই ছিল না, উছা দিবা হইয়া গিয়াছিল । তিনি মোন ভাবে ছিলেন, আমাদের ন্যায় তাছার অধরোষ্ঠে হাস্য প্রভা ছিল না । প্রাচীনের এই ভাৰ দেখিয়া কোন যুবা তাহার সম্মুখে যাইয়া বলিল “ৱদ্ধ ! কেন বিষন্ন ভাবে অধোমুখে এক প্রান্তে বসিয়া আছ ? এক বার মুখ তোল, মনের উল্লাসে এই যুবকদের সঙ্গে মিলিত হইয়। আনন্দ কর । ” দেখ ইছ শ্রবণে প্রাচীন পুৰুষ মস্তক উত্তোলন করিয়া কেমন রুদ্ধ জুনাচিত উত্তর দান করিলেন । তিনি বলিলেন “ যখন প্রাভাতিক সমীরণ উদ্যানে সঞ্চরণ করে, তখন যুবক রক্ষেরই হর্ষ-স্পন্দন ছয়, যে পৰ্য্যন্ত যুব। ছরিং কান্তি বিশিষ্ট, সে কাল পর্যন্তই বিটপী সেই সুখ সমীরণ ছিল্লোলে ম্পন্দন করে, ছেলে দোলে ; বয়ঃ পরিণতির অবস্থায়—জীর্ণ পুরাতন হইলে করে না । যুবকদের সঙ্গে অামার আমোদ প্রমোদ শোভা পায় না। আমার মুখ মণ্ডলে বয়ঃ পরিণামের উয উদিত হইয়াছে । সেই বলবাম্ প্রাণপক্ষী এ পর্যন্ত দেহ পিঞ্জরে ব্ৰুদ্ধ ছিল, কিন্তু এই ক্ষণ প্রতি মুহূৰ্ত্তে বন্ধন-মুক্ত হইতে চাছে। এই সংসার-সদাব্রতে আমার স্থিতিকাল শেষ ছইয়। আসিয়াছে, আমি অলমোদ উল্লাসে সময় যাপন করার অংশ পরিত্যাগ করিয়াছি। যখন মস্তকের কেশ শুভ্ৰ হয়, তখন আর যৌবন আমেদের আকাঙ্ক্ষা করিও না। আমার কেশরূপ কাক-পক্ষে তুষার বর্ষণ ছইয়াছে, আমি বোলবোল পক্ষীর ন্যায় উদ্যানের শোভা দেখিয়া বেড়াইতে পারি না। পরম রূপবান শিখণ্ডীর পুচ্ছ বিস্তাব ও উল্লাস শোভা পায়, › ዓ