পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*७० নবম অধ্যায় । উৎপাটিত পক্ষ শ্যেন পক্ষীর নিকটে তাহ কি প্রকারে প্রত্যাশা করিতে পার? আমার জীবনরূপ শস্যের কৰ্ত্তনকাল উপস্থিত, তোমাদের এইক্ষণ নবোদগত শস্য তৃণ । আমার পূপোদ্যশনে সরসতা নাই, বল কে মলিন কুসুমে তেগড় বাধিয়া থাকে ? বৎস ! যষ্টির উপর আমার নির্ভর, জীবনের উপর আর নির্ভর রাখা উচিত নয়। ক্রীড়া কৃর্দন সম্পূর্ণরূপে যুবকদিগেরই, ৱদ্ধগণ চলিবার কালে অন্যের হুস্তাবলম্বন আকাঙ্কণ করে । আমার মুখ মণ্ডল দেখ, পীতাভ ধারণ করিয়াছে ; স্বৰ্য্য মণ্ডল পীতরাণুে রঞ্জিত হইয়া অস্তগত হয়, আমারও পরিণাম উপস্থিত। যুবকের অামোদ প্রমোদ অবোধ শিশুর পক্ষে তাদৃশ নিন্দনীয় নয়, কিন্তু রূদ্ধের সম্বন্ধে বুড় গছিত । বালকের ন্যায় অামি জীবন যাপন করিয়াছি, এই অপরাধের অনুশোচনায় বালকবৎ আমার রোদন করা কৰ্ত্তব্য। পণ্ডিতবর লোক্মান সার কথা বলিয়াছেন যে বহু বৎসর অপরাধে জীবন যাপন করা অপেক্ষ মৃত্যুই শ্ৰেয়ঃ। কুসীদ প্রদান ও মূলধণ হস্তচু্যত হওয়া অপেক্ষ ချီရr শালার দ্বার একেবারে বন্ধ হইয়া যাওয়াই ভাল । ১ । একদা এক রন্ধ পুৰুষ কোন বৈদ্যের নিকটে আসিয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে করিতে বলিতে লাগিল “ আমার শিরা দেখ, আমার শরীর কুক্ত হুইয়াছে, চলৎ শক্তি নাই, আমি এক চরণ অন্য চরণ হইতে পৃথক করিতে পারি না, দেখ চরণে চরণে জড়িয়া গিয়াছে, আমি যেন কদমে মগ্ন হুইয়। অাছি । ” বৈদ্য বলিলেন “ অণর ইহুলোকে নয়, পরলোকে তোমার চরণ পঙ্ক-মুক্ত হুইবে । * g আমোদ প্রমোদে যদি যৌবন কাল যাপন করিয়া থাক, বৃদ্ধ কালে সাবধাম হও, সদ্বিবেচনা অবলম্বন কর । তোমার বয়ঃক্রম চল্লিশ বৎসর অতিক্রম করিয়া থাকিলে মনে কর যে তুমি ডুবিয়াছ, আর বাহুর আস্ফোটন করি ও না । যখন তামার কৃষ্ণ কেশ শুভ্ৰ হইতে আরম্ভ করিল, তখন চিত্তের উল্লাস চলিয়া যাতে লাগিল। ভাবিলাম, দিন গত হইয়াছে, এইক্ষণ মন হইতে আনন্দ মত্তত দূর করা কৰ্ত্তব্য । যখন আমার শ্মশান গমনের দিন নিকটে, আর কি আমোদ আলাদে হৃদয়কে প্রফুল্ল রাখা যায়? আমি