পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যান মাল । Yని) ক্রীড়া কৌতুকের ভাবে আনকের সমাধি ক্ষেত্রে গমন করিয়াছি, কত লোক পরে আমার সমাধি ভূমিতে সেই ভাবে গমন করিবে । ছায় ! যৌবন কাল চলিয়া গিয়াছে, ক্রীড়া আমোদে জীবন গত হইয়াছে। ছায় ! এরূপ প্রাণ তোষণ যৌবন বিদ্যুতের ন্যায় অদৃশ্য হইল । ইহা পরিধান করিব, উছা ভোগ করিব এই মত্ততায় ধৰ্ম্ম চিন্তা করিলাম না । অসার বিষয়ে রত ছইয়া ধৰ্ম্ম হইতে দূরে রছিলাম, সত্যকে অবহেলা করিলাম। ২

  • একদা যামিনীতে আরবের প্রান্তরে নিদ্রা আসিয়া আমার গতুি রোধ

•করিয়াছিল। আমি শয়নে ছিলাম, তখন এক উট্র চালক উষ্ট বন্ধন-রজু দ্বারা আমার মস্তকে আঘাত করিয়া ব্যস্ততার সহিত উচ্চৈঃস্বরে বলিল “ উঠ, সহযাত্ৰীগণ চলিয়। যাইতেছে, তুমি কি মৃত্যুর জন্য পশ্চাতে পড়িয়া রছিলে ? যাত্রার ঘণ্টা স্বনি শুনিয়াও যে তোমার চৈতম্যোদন্ন হয় না ? তোমার ন্যায় আমারও চক্ষে তন্দ্রার আকর্ষণ আছে, কিন্তু সন্মুখে সুবিস্তীর্ণ প্রান্তর, যদি নিদ্রাগত হই, তবে তাহ সমুত্তীর্ণ হইতে পারিব না। এ জন্য নিদ্রার द*ौडूङ कई नाझे । - . যাত্রার ধনী শুনিয়। যদি তুমি মোহ নিদ্র হইতে উত্থান না কর, তবে বল হে ভ্রাতঃ! কেমন করিয়া সহযাত্রীদের সঙ্গে পথ চলিয়। যাইবে ? দেখ, যাত্র। কালীন নহবতের স্বনি শ্রবণ করিয়াই অগ্রগামী বণিকৃ দল গম্য স্থানে যাইয়া পন্তছিল, সেই ভাগ্যবান্‌ সতর্ক লোকেরা ধন্য, র্যাহারণ নহবত বাজিবণর পূৰ্ব্বেই প্রস্থানের আয়োজন করেন । পথে পড়িয়া যাহার নিদ্রা যায়, সেই হতভাগ্য লোকের তখন মুস্তক উত্তোলন করে, যখন পথিকগণের কোন চিহ্ন দেখিতে পায় না । ষে সত্বর উত্থান করে, সে সত্বর চলিয়া যায় । সহযাত্রীগণ প্রস্থান করিলে পর অণর জাগরিত হইয় ফল কি ? যদি তোমার যৌবনাপগম ও বাদ্ধক্যের অগ্রস্ত হইয় থাকে, তোমার রাত্রি প্রভাত হুইয়াছে, নেত্রকে নিদ্রা-মুক্ত কর । যে দিন দেখিলাম যে অসিত কেশ সিত হইতে আরম্ভ করিয়াছে, আমি সেই দিনই মৃত্যু নিকটে গণনা করিলাম। হায়! আমার প্রিয়তম জিৰীতকাল অতীত হইয়াছে, অবশিষ্ট কয়েক মুহুৰ্ত্তও চলিয়া যাইবে। যাহা গত হইয়াছে, ཨ་ཙ1༔ "ধেই গত ছইয়াছে।