পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৩৯

নবম অধ্যার । "לוסיי নিকেতন অতি পবিত্র। সেই পুণ্য ভূমিতে পবিত্ৰ পুৰুষগণ আগ্রহের সক্তি যাইতেছেন। অামার ন্যায় পাপ পঙ্ক লিপ্ত লোকে তথায় কি প্রকার যাইবে ? র্যাছাদের তপস্য। ধন আছে, উছারাই স্বৰ্গ লাভ করেন। অনুতাপ বারিতে আত্মীর পাপ পঙ্ক প্রক্ষালন কর, সাবধান ! এরূপ করিও না, যাহা দ্বার। - জীবনের মলিনতা প্রক্ষণলনকারী সেই স্বৰ্গীয় জল স্রোত বন্ধ হইয় যায়। এ কথা বলিও না যে আমার সৌভাগ্য পক্ষী হস্ত হইতে পলায়ন করিঙ্গাছে, অনুতাপ করিবার ক্ষমতা নাই ! আমি বলি এই ক্ষণও যখন জীবিত আছ, অনুজ্ঞাপের বল তোমার রহিয়াছে। যদিচ ধৰ্ম্ম সাধনায় তোমার বহুকাল উপেক্ষ হুইয়াছে, তথাপি এই ক্ষণ উৎসাহী ও সত্বর ছও। অদ্যপি মৃত্যু তোমার হস্ত বন্ধন করে নাই, অতএব ধৰ্ম্মরাজের মন্দিরে যাইয়া অঞ্জলিবদ্ধ ছও। হে পাপিন উথান কর, আর শয়ন করিয়া থাকিও না । কৃত পাপের জন্য কিঞ্চিৎ অনুতাপ জল চক্ষু হইতে বর্ষণ কর । ঈশ্বরের দ্বারে আপনার মান গৌরব বিসর্জন করিয়া দীন হও । ১০ to এক ব্যক্তি এক স্থানে শস্যপুঞ্জ সঞ্চয় করিয়া রাখিয়ছিল । একদ রাত্রিতে সে মুরামত্ত হইয়। অগ্নি উদ্দীপন করে ও আপন শস্য রাশি জ্বালাইয় দেয়। পর দিন সেই হতভূণগ্য দুঃখিত মনে অনেক যত্ন করিয়া ভস্মরাশি হইতে এক মুষ্টি যবকণিকাও বাহির করিতে পারে না। তখন কেছ সেই অভাজনের দুঃখ ও গ্লানি দেখিয় স্বীয় পুত্রকে এই উপদেশ দান করিলেন “ বৎস ! যদি ভাচুত হইতে ন চাও, তবে মত্ত হইয় আপন সম্পত্তি দগ্ধ করিও না । সম্পত্তি একবার দগ্ধ হইলে পুনঃসংগ্ৰছ করিতে অত্যন্ত ক্লেশ ও লাঞ্ছন । প্রিয় পুত্ৰ ! সুবিচার ও দান ধৰ্ম্মাদি বীজের সদ্ব্যবহার কর, এই সকল সদগুণ সম্পত্তির অপচয় করিও না। হতভাগ্য লোকের বিপদে ভাগ্যবান লোকেরা উপদেশ লাভ করেন । তুমি শাস্তি পাইবার পূৰ্ব্বে ক্ষমার দ্বারে যাইয়া আঘাত কর । যখন দগুণঘাত হইতে থাকে, তখন আর্তনাদ করিলে কোন ফল নাই । কল্য যেন দুঃখিত ও লজ্জিত ন ছও, তাহ কর । মন্তর্ক উত্তোলন কর, আর উপেক্ষা করিও না । ১১