পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৰম অধ্যায় । هم 8 لا তাহাতে আমি কি পৰ্যন্ত শোকাকুল হইয়াছিলাম, বলিয়া উঠিতে পারি ম.। এই সংসার উদ্যানে এ প্রকার একটা তৰু বৃদ্ধি লাভ করে না ষে মৃত্যু রূপ ঝঞ্জাবাত তাহাকে সমুলে উৎপাটন না করে । ভূমির উপর পুষ্প বিকসিত হওয়া বিচিত্র নয়, যে হেতু অনেক শিশুর দেহ-পুষ্প ভূমির নিম্নে শায়িত । আছে । এক দিন প্রিয়তম শিশুর শব দর্শনের উন্মত্তত ও ব্যাকুলতাতে তাছার সমাধি গৰ্ত্তের প্রস্তর উঠাইয়া ফেলিয়ছিলাম। সেই অন্ধকারময় সকীর্ণ স্থান দর্শনে প্রথমতঃ ভয়ে আকুল ও বিচেতন ছই, পরে যখন সুস্থির ও সচেতন ছইলাম সেই প্রেমাম্পদ সন্তান ছইতে হৃদয়ে এই কথা শুনিতে" পাইলাম। অন্ধকার দেখিয়া যদি তোমার ভয় হয়, ধৰ্ম্মালোক হস্তে করিয়া সচৈতন্যে সমাধি গৰ্ত্তে প্রবেশ করিও । যদি সমাধির রজনীকে দিবার ন্যায় দীপ্তিময় দেখিতে চাও, তাছা হইলে পুণ্য দীপ প্রজ্বলিত কর । উদ্যানপাল খেণশ্বাগতক বা পাছে ফলবান মা ছয় এই ভাবিয়া শঙ্কিত থাকে। কিন্তু অনেক লোভী দুরাশাগ্রস্ত লোক বীজ বপন না করিয়াই শস্য সংগ্রছ করিতে চায় । সাদি ! সেই ফল ভোগ করে, যে বৃক্ষ রোপণ করিয়া থাকে, সেই শস্য সংগ্রহ করে, যে বীজ বপন করিয়৷ থাকে । ১৩ 예 মার্জর পরিষ্কৃত ভূমিতে মল ত্যাগ করে ; কিন্তু পরে যখন অপরিস্কার দেখে, তাছা মৃত্তিক দ্বারা অচিছাদন করিয়া রাখে। তুমি পাপ কর্য্যে নিঃশঙ্ক আছে, তাছাতে যে লোকের চক্ষুঃ পতিত হয়, এ বিষয়ে তোমার ভয় হয় না । মে দাস অনেক কাল প্রভু হইতে পলায়িত, তাছার জন্য চিন্তিত স্থও ; কিন্তু যে সরল অন্তঃকরণে কাতর ভাবে পুনরায় আসিয়া অত্ৰিয় লয়, সেই পুনরাগত অনুতপ্ত দাস দিগকে প্রভু আর শৃঙ্খল দ্বার বন্ধন করেন না। বিরোধী হইয়া প্রভু পরমেশ্বর হইতে কে চিরকাল পলায়ন করিয়া থাকিতে পারে ? সেরূপ পলায়নের পথ নাই । এই ক্ষণই জীবনের প্রতি দৃষ্টি করিয়া চলা কৰ্ত্তব্য, সেই সময় নয়, যখন পুখামু পুঙ্খরূপে জীবন পুস্তকের ‘বিচার হইবেক যে পূৰ্ব্বেই আপন পাপের জন্য অনুজ্ঞাপিত হুইয়াছে, সে পাপ করিয়াও করে নাই । নিশ্বাস যোগে