পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ই । নবম অধ্যায় । থাকিয় জীবন নষ্ট করিয়াছ, এইক্ষণ এস, তজ্জন্য অনুতাপ কর। দেখ, সমগ্র জীবন তুমি ইহলোকে সুখস্থিতির আয়োজন করিলে, নিত্যধামে যাত্রার সম্বল কিছুই সংগ্ৰহ করিলেন । র্যাহারা পুণ্য সঞ্চয় করিয়াছেন, সেই পুণ্য লোকে তাছাদেরই উচ্চপদ । তুমি যদ্রপ সঞ্চয় করিয়াছ, তদনুরূপ পণ্য দ্রব্য লাভ করিতে পরিবে। যদি দরিদ্র বট, লজ্জা পাইবে । বিপণি নন। সুখদ দ্রব্যে পরিপূর্ণ, কিন্তু যাহার শূন্য ছন্তে র্যায়, তাছাদের কেবল আক্ষেপ করিতে হয়। তোমার প্রয়োজনীয় পঞ্চাশ মুদ্রার, মধ্যে পাচটা মুদ্র স্থান হইলেই শোকাকুল হইবে। যদি তুমি পঞ্চাশ বৎসর রথ যাপন করিয়া থাক, অবশিষ্ট পীচ দিনকেও সার্থক করিয়লও। যদি মৃত ব্যক্তির বাকৃশক্তি থাকিত, সে আর্তনাদ করিয়া এই কথা বলিত, “ ছে জীবিত । যখন তোমার বলিবার শক্তি আছে, পরমেশ্বরের নাম কর। মৃতের ন্যায় মৌন থাকিও না। অবহেলা করিয়া আমি জীবন ক্ষয় করিয়া আসিয়াছি, তোমার যে কয়েক মুহূৰ্ত্ত জীবন আছে, তাহা সার্থক করিয়া লও } * ১৬ যুবক ! এই যৌবন কালেই ধৰ্ম্ম সাধনের পথ অtশ্রয় কর । কল্য যখন্ম ৱদ্ধ হইবে, তখন তোম। দ্বারা যৌবন বলের কার্য চলিবে না, তোমার শরীরে শক্তি আছে, মন প্রশস্ত আছে, এই বেল উপেক্ষা করিওন। অম্বি যৌবনের মর্যাদা হৃদয়ঙ্গম করি নাই, সম্প্রতি বুঝিতে পারিয়াছি ষে যৌবন কাল বৃথা যাপন করিয়াছি। যাহার প্রত্যেক দিন উৎসবের দিন ছিল, বিধাতা আম হইতে এইক্ষণ, সেই কাল কাড়িয়া লইয়াছেন। জীর্ণ গৰ্দ্দভে আরোহণ করিয়া কেছ দোঁড়িয়া যাইতে পারেন । যুবক ! তুমি অশ্বারূঢ় বট, বেগে ধাবিত হও । ভগ্ন পাত্রকে যোড় দিলেও তদ্বারা পৰ্য্যাণ্ড মূল্য লাভ করা যায়ন । কিন্তু পাত্র ভগ্ন হইলে পুনঃ সংযোজন ব্যতীত উপায়ও নাই। কে বলিবে তুমি জয়হুন নদে * ঝাপ দিয়া পড়। কিন্তু যদি পতিত হইয়া থাক, কোনরূপে সন্তরণ করিয়া উদ্ধার ছও। ১৭ কখোরাশান দেশ দিয়া এই নদ প্রবাহিত ইষ্টয়াছে। , –—