পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায়। প্রার্থনা । • এক হুৰ্ব্বলচিত্ত ঋষি রজনীতে অনুতাপ করিয়া প্রাতঃকালে তাছ ভঙ্গ করেন । তখন তিনি কি সুন্দর কথাটী বলিয়াছিলেন “ তিনি ( ঈশ্বর ) যে অনুতাপ প্রেরণ করেন, তাহাই প্রকৃত। আমার স্বরুত অমৃত্যুপ ও প্রতিজ্ঞ। অস্থায়ী ও দুৰ্ব্বল । ” * প্রভো ! তোমার সত্যের দেছাই, আমার চক্ষুকে অসত্য দেখিতে দিও না । তোমার জ্যোতির দোহাই, নরকামিতে যেন আমি দগ্ধ ন হই । হীনতা ও দুৰ্ব্বলতাতে মৃত্তিক হইয়া আছি। অামার পাপধুলি আকাশে উঠিয়াছে। কৃপাময়! তুমি একবার রূপ-বারি বর্ষণ কর, যেহেতু রাষ্টদ্বারা ধূলি প্রতিহত হয়। অপরাধের জন্য আমি তোমার মন্দিরে আসন পাইবার উপযুক্ত নই, কিন্তু চিন্তা করিয়া দেখিয়াছি অন্যত্রও আমার স্থান নাই। যাহার বাকুশক্তি নাই, তাহার হৃদয় তুমি জান, তুমিই ভগ্নহৃদয়ে ঔষধ বিলেপন কর । ১ এক স্মরামত আতপ তাপিত হইয়া কোন ভজনালয় সংক্রান্ত কুটিরে প্রবেশ করে, এবং সেখানে যাইয়াই সে পরমেশ্বরের নিকটে এই প্রার্থন করে “ছে প্ৰভো! আমাকে স্বর্গে গ্রহণ কর” তখন ধৰ্ম্মমন্দিরের এক ব্যক্তি তাছাকে বলিল “ জ্ঞান ধৰ্ম্মহীন পাষণ্ড ! সতর্ক ছও, তুমিও স্বর্গে যাইতে চাও, ঈশ্বরের মন্দিরে কি কুকুরের প্রবেশ হুইবে ? কি পুণ্য করিয়াছ যে স্বৰ্গ প্রার্থনা কর ? যে ব্যক্তি কদাকার, তাহার আর রূপ দেখাইয়। বেড়ান শোভা পায় না।” 拳 ধাৰ্ম্মিক এই উক্তি করিলে মত্ত আশ্র্যপাত করিতেই বলিল “মহাশয় । ক্ষমা কয়,আমি মাতাল বটি, যথার্থ। কিন্তু ঈশ্বর যে কৃপা করিয়া উপহার দ্বারে পাপীকে ভিক্ষা করিতে দেন, ইহা কি তুমি বিশ্বাস কর না। আমি